শরীর ভালো রাখার অন্যতম উপায় হলো হাঁটা। রুটিনমাফিক হাটঁলে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা যায়। তবে সব বয়সে হাঁটার সময় এক হয় না। বয়সভেদে হাঁটার সময়েও তারতম্য হয়।
চলুন জেনে নিই- কোন বয়সে কত সময় হাঁটা দরকার। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে হাঁটার বিকল্প নেই। জীবনের সব বয়সেই হাঁটার প্রয়োজন আছে। হাঁটলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে দিনের সবসময় হাঁটাও আবার স্বাস্থ্যসম্মত নয়। যেমন দুপুরের তপ্ত রোদে হাঁটলে উপকারের বদলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
১৮-৩০ বছর: এই বয়সে শরীরের পেশি তুলনামূলক বেশি শক্তিশালী থাকায় হাঁটা সহজ। তাই সময়ে প্রতিদিন অন্তত ৪০ থেকে ৬০ মিনিট হাঁটা উচিত। এতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩০-৫০ বছর: বয়সের বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেশির শক্তি কমতে থাকে। তাই চাইলে এই বয়সে হাঁটার পরিমাণ কমানো যায়। ১ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। তবে দীর্ঘমেয়াদে শরীরকে নিরোগ রাখতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত ৩০ হাঁটা দরকার। সেক্ষেত্রে কর্মস্থলে চাইলে পায়ে হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন।
৫১-৬০ বছর: এই বয়সে ৩০ মিনিট হাঁটাই যথেষ্ট। বার্ধক্যের কারণে শক্তি অনেকাংশেই কমে যায়। ফলে অতিরিক্ত হাঁটাও কষ্টকর। তবে নিয়মিত হাঁটলে এই বয়সে শরীর নিরোগ থাকে অনেকটা।
৬০-৮০ বছর: এই সময়কে বার্ধক্যের চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে ধরা হয়। মূলত বিভিন্ন রোগের কারণে এবং বয়সের ভারে অনেকেই এই বয়সে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। তবে এই বয়সেও ১০-১৫ মিনিট হাঁটলে সুফল পাওয়া যায়। হাঁটার সময় ভারসাম্য বা মাথাঘোরার সমস্যা হলে লাঠি বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে।