অন্যের ব্যাপারে অহেতুক হস্তক্ষেপ করাকে ‘নাক গলানো’ বলা হয়। কেউ না জেনেবুঝে অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে নাক গলান, আবার কেউ আছেন ইচ্ছা করেই নানা খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চান।
বিয়ে করছ কবে? বাচ্চা কবে নিচ্ছ? তোমার বেতন কত? আর কত মোটা হবি? দিন দিন তো শুকিয়ে যাচ্ছিস? আপনি যতই অপছন্দ করুন না কেন, এসব অসৌজন্যমূলক প্রশ্ন আপনাকে আশপাশের মানুষেরাই করবেই। আর এ প্রবণতা বেশি দেখা যায় পরিচিত বা আত্মীয়-পরিজনদের মধ্যেই। প্রবীণ আত্মীয় হলে তো নীরবে হজম করে যাওয়া ছাড়া আর কোনো গতিও থাকে না!
এদিকে শীত মানেই একটার পর একটা অনুষ্ঠান লেগে থাকা। এ সময় আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের সুযোগও বাড়ে। সবার সামনে চাইলেও যেমন আত্মীয়দের মুখের উপর কটু কথা বলা যায় না, আবার অতি কৌতূহলী 'মুরুব্বি'দের থেকে দূরে সরে থাকাও মুশকিল। তাহলে উপায়!
যেসব আত্মীয়-পরিজন অন্যের জীবনে নাক গলানোকে নিজেদের 'জাতীয় দায়িত্ব' মনে করেন, জেনে নিন তাদের সামলানোর উপায়-
এড়িয়ে চলুন
সব আত্মীয়-পরিজন এক রকম হন না। ইতিমধ্যে নিশ্চয়ই ‘বিশেষ’ আত্মীয়দের আপনার চেনা আছে। চেষ্টা করুন পারিবারিক আয়োজনে তাঁদের এড়িয়ে চলতে। আগে থেকেই তাদের আসার সময় বা অবস্থান সম্পর্কে ধারণা রাখুন। তাহলে হুটহাট সামনে পড়তে হবে না! এভাবে অনেক কলহ বা উত্তেজনা এড়ানো সম্ভব।
অতিরিক্ত ‘শেয়ারিং’ নয়
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে আমরা সবাই এখন জীবনের নানা মুহূর্ত শেয়ার করতে ভালোবাসি। কিন্তু জীবনে ঘটে চলা সবকিছু উজাড় করে সবাইকে জানালে পরবর্তী সময়ে নিজেরই বিপদে পড়তে হবে!
নিজের দুর্বলতা সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের কাছেও ব্যক্ত করবেন না। যতটুকু না বললে নয়, ততোটুকুই বলুন।
প্রসঙ্গ বদলান
যখনই কোনো আত্মীয় আপনার ব্যাপারে অতিরিক্ত কৌতূহল দেখাবেন বা অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন জানতে চাইবেন, সঙ্গে সঙ্গে প্রসঙ্গ বদলে ফেলুন। প্রবীণ আত্মীয়দের ক্ষেত্রে তাঁদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে পালটা জানতে চাইতে পারেন। এতে তাঁদের অসম্মান করাও হবে না, আবার আপনিও বিড়ম্বনাতে পড়বেন না।
প্রস্থানই উত্তম
পরিস্থিতি যদি একেবারেই আয়ত্তের বাইরে চলে যায়, তাহলে শেষে কোনো কথা না বলে চুপচাপ উঠে পড়ুন। কোনো উত্তর না দেওয়াও কিন্তু অনেক বড় ‘উত্তর’। আপনি কথা না বাড়িয়ে চলে এলে পরে আপনাকে বিব্রত করা আত্মীয়ই অনুতাপে ভুগবেন।