ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ২৯ মাঘ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

ঋতু পরিবর্তনে সুস্থ থাকার ৫ কার্যকর উপায়

লাইফস্টাইল

আমাদের বার্তা ডেস্ক  

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সর্বশেষ

ঋতু পরিবর্তনে সুস্থ থাকার ৫ কার্যকর উপায়

শীতের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার পরিবর্তন শুরু হয়, যা শরীরের ওপর নানাভাবে প্রভাব ফেলে। এই সময়ে সঠিক পরিচর্যা ও সতর্কতা না নিলে ঠান্ডা, অ্যালার্জি কিংবা শারীরিক দুর্বলতার শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে সুস্থ থাকার জন্য কিছু কার্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো—  

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো

ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা, ফ্লু বা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার (যেমন লেবু ও বেল পেপার) এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার (যেমন চর্বিযুক্ত মাছ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য) খাওয়া উপকারী। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি ও ভেষজ চা পান করা, হাইড্রেটেড থাকা এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করাও সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।  

২. ত্বকের যত্নে পরিবর্তন আনা 

আবহাওয়ার উষ্ণতা ও আর্দ্রতার পরিবর্তনের কারণে ত্বকের যত্নেও কিছু পরিবর্তন করা দরকার। শীতের ভারী ময়েশ্চারাইজারের বদলে হালকা ও হাইড্রেটিং লোশন ব্যবহার করুন। অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব বেশি থাকায় প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। পাশাপাশি, শীতে জমে থাকা শুষ্ক মৃত কোষ দূর করতে নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন বজায় রাখুন।  

৩. শারীরিক সক্রিয়তা বাড়ানো  

ঠান্ডার কারণে অনেকেই শীতকালে কম সক্রিয় থাকেন, কিন্তু ঋতু পরিবর্তনের এ সময়টায় শারীরিক কার্যকলাপ বাড়ানো দরকার। বাইরে হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইকেল চালানোর মাধ্যমে সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসুন। এছাড়া পেশির নমনীয়তা ও রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং অনুশীলন করুন। ব্যায়ামের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে নিলে আঘাতের ঝুঁকি কমে।  

৪. পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা  

শীতের শেষে মৌসুমি ফল ও শাকসবজি সহজলভ্য হয়ে ওঠে, তাই খাদ্যতালিকায় এগুলো যোগ করুন। সবুজ পাতাযুক্ত শাক-সবজি, মৌসুমি ফল, গোটা শস্য, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করুন। হজমের জন্য উপকারী প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার, যেমন দই ও গাঁজানো সবজি খাওয়াও উপকারী।  

৫. মৌসুমি অ্যালার্জি থেকে সতর্ক থাকা  

ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বসন্তকালীন অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। তাই এ সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। পরাগের পরিমাণ বেশি থাকলে জানালা বন্ধ রাখুন, বাইরে থেকে ফিরে হাত ও কাপড় ধুয়ে ফেলুন এবং অ্যালার্জেন কমাতে ঘরে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন।  

সঠিক যত্ন ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে ঋতু পরিবর্তনের এই সময়েও সুস্থ থাকা সম্ভব।

জনপ্রিয়