ঢাকা বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫ , ১৮ চৈত্র ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন স্ক্রল করলে রক্তচাপ বাড়ে, কী বলছে গবেষণা

লাইফস্টাইল

আমাদের বার্তা ডেস্ক 

প্রকাশিত: ১০:২০, ২৪ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন স্ক্রল করলে রক্তচাপ বাড়ে, কী বলছে গবেষণা

অবসর সময়ে মোবাইলে আটকে চোখ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে স্ক্রল করা চলছে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হোক, খেতে বসে বা সফরের সময়ে, ‘রিল’ বা ভিডিও দেখার অভ্যাস আজকাল অধিকাংশেরই। শিশুরাও তার বাইরে নয়। আর এই অভ্যাসের হাত ধরেই ঘনাচ্ছে বিপদ।

সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সারাক্ষণ মোবাইলে স্ক্রল করে ‘রিল’ দেখার অভ্যাস বা ডুম-স্ক্রলিংয়ের নেশা সর্বনাশা হয়ে দেখা দিচ্ছে। তা যেমন একদিকে হাইপারটেনশনের কারণ হয়ে উঠছে, তেমনই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে।

‘আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিয়োলজি’ এবং ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেশন’-এর তথ্য বলছে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটানা ‘রিল’ দেখে যাওয়া বা ভিডিও গেম খেলার অভ্যাস থাকলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়বে। কারণ স্ক্রিনের দিকে একটানা চোখ ও ‘রিল’ দেখে অহেতুক উত্তেজনা হৃৎস্পন্দনের গতি বাড়িতে দিতে পারে। এতে মেলাটোনিন নামক হরমোনের তারতম্য দেখা দেয়। এই হরমোনই ‘স্লিপ সাইকেল’ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় এবং একযোগে চাপ পড়ে শরীরে আর মনে। এই অভ্যাসের প্রভাব পড়তে পারে আপনার স্মৃতিশক্তির উপরেও। পাশাপাশি মোবাইলের নীল আলো রেটিনার ক্ষতি করে ও স্নায়ুতন্ত্রের উপরেও প্রভাব ফেলে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা টানা ৩-৪ ঘণ্টা মোবাইলে ভিডিও দেখে বা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ক্রল করে কাটান, তাদের হৃদ্‌রোগ ও হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বেশি। যারা ৪ ঘণ্টারও বেশি মোবাইলের ‘রিল’ দেখতেই থাকেন, তাদের ভবিষ্যতে হার্টের রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যাবে।

১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে জার্মানির একটি গবেষণাতেও দাবি করা হয়েছিল, মোবাইলের ব্যবহার বেশি হলে রক্তচাপের সমস্যা বাড়তে পারে। এখনকার সময়ে এই বিষয়টিই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, মোবাইল থেকে বেরনো তড়িৎচুম্বকীয় রশ্মি মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে একদিকে যেমন স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়, তেমনই অন্যদিকে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হতে থাকে। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ক্ষরণ বাড়তে থাকে। ফলে মনের ওপর চাপও বাড়ে। মানসিক চাপ ক্রনিক হয়ে গেলে হাইপারটেনশনের সমস্যা বেড়ে যায়।

ডিজিটাল আসক্তি কাটানোর উপায় কী?

বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে হবে। এমনটাই মত গবেষকদের। ফোনমুখী মনকে বশে রাখতে হলে, নানা ধরনের বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে।

সারাক্ষণ বসে বা শুয়ে মোবাইল না দেখে, শরীরচর্চার অভ্যাস তৈরি করতে পারলে ভালো হয়। রাতে শুয়ে মোবাইলে স্ক্রল না করে মেডিটেশন বা ধ্যান করতে পারলে মন অনেক শান্ত থাকবে। অস্থিরতা কমবে এবং মনঃসংযোগ বাড়বে।

ছোটরা এখন ভার্চুয়াল জগতে বিচরণ করেই বেশি আনন্দ অনুভব করছে। এমনকি, মন খারাপ হলে নেটদুনিয়াতেই সুখ খুঁজে নিতে চাইছে। সব কিছুর সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে ভার্চুয়াল জগৎ। এর থেকে অপরাধপ্রবণতাও বাড়ছে। তাই ডিজিটাল আসক্তি কাটাতে পুরনো শখগুলোকেই ফিরিয়ে আনতে হবে। বই পড়া, খেলাধুলা করা, বাগান করা, রান্না করা অথবা গান শেখা, নাচ, আবৃত্তি— এগুলোর মাধ্যমেই ফোনের নেশা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পথটা অনেক সহজ হবে।

জনপ্রিয়