ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ , ১ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার উপকারিতা

লাইফস্টাইল

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ৯ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার উপকারিতা

ওটস একটি ক্লাসিক ব্রেকফাস্টের প্রিয় খাবার, কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি কেবল সুস্বাদুই নয়? এই ছোট ছোট শস্যগুলোতে প্রচুর পুষ্টি থাকে যা আপনাকে সুস্থ, উজ্জীবিত এবং সারা দিন ভালো বোধ করতে সাহায্য করতে পারে। ওটমিল, স্মুদি বা বেকড খাবার- যেভাবেই উপভোগ করুন না কেন, ওটস আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় স্থান পাওয়ার যোগ্য। 

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন কর্তৃক প্রকাশিত ‌‌‘ওটসের স্বাস্থ্য-উপকারী বৈশিষ্ট্যের পর্যালোচনা’ শীর্ষক একটি গবেষণা অনুসারে, এতে বিটা-গ্লুকান রয়েছে যা গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য ওটসকে উপকারী করে তোলে। হোল গ্রেইনস কাউন্সিলের মতে, ওটসের নিয়মিত ব্যবহার রক্তচাপ কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত, যা হৃদরোগের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন ওটস কেন খাবেন-

১. পেট ভরিয়ে তৃপ্ত রাখে

ওটসে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেট ভরিয়ে রাখতে এবং তৃপ্ত বোধ করতে সাহায্য করে। এটি দুর্দান্ত ব্রেকফাস্ট হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি সারা সকাল ক্ষুধা নিবারণ করতে চান। ওটসের ফাইবার ধীরে ধীরে হজম হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে এবং মধ্যাহ্নে খাবারের ক্ষুধা রোধ করে।

২. ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ

ওটস হলো শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি পাওয়ার হাউস। এতে প্রচুর আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হাড়কে শক্তিশালী করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। দৈনন্দিন রুটিনে ওটস যোগ করলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারে।

৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে

ওটস হজম স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। ওটসে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার নিয়মিত মলত্যাগকে উৎসাহিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজম ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে সচল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে, আপনাকে হালকা এবং আরামদায়ক বোধ করতে কাজ করে। ওটস স্বাস্থ্যকর হজমে সহায়তা করার একটি প্রাকৃতিক উপায়।

৪. হৃদরোগ দূরে রাখে

ওটসে বিটা-গ্লুকান থাকে, একটি দ্রবণীয় ফাইবার যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমিয়ে সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতে কাজ করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ওটসকে আপনার খাদ্যতালিকায় একটি সহজ এবং কার্যকর সংযোজন করে নিন।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

ওটসের ফাইবার আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রেখে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। যেহেতু ওটসের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, তাই এটি রক্তে শর্করার বৃদ্ধি ঘটায় না। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

জনপ্রিয়