ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন উৎসবে ঝালকাঠির স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। বুধবার সকালে ঝালকাঠির সরকারি দুটি স্কুলে গিয়ে দেখা যায় ষষ্ট শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক সামষ্টিক মূল্যায়নে অংশ নিয়েছেন।
বিদ্যালয় ঘোষিত রুটিন অনুযায়ী ৩০ জুলাই পর্যন্ত এ মূল্যায়ন চলবে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদ্বয় বালিকা বিদ্যালয় ৯০৮ জন ছাত্রী ও বালক বিদ্যালয় ৯৪০ জন ছাত্র অংশ নিয়েছেন। সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৫ ঘন্টাব্যাপী এ মূল্যায়ন চলবে এর মধ্যে ২০ মিনিটের বিরতি থাকছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিষয়ভিত্তিক ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নে অংশ নিয়ে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করছি।
বালিকা বিদ্যালয় ৯ম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার জানান, আগে আমাদের পড়াশোনা পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো কিন্তু বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় পাঠ্য বইয়ের বাইরে রাষ্ট্র, সমাজ ব্যবস্থাসহ নানা বিষয় জ্ঞান লাভ করছি। বালক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণি জুবায়ের জানায়, মূল্যায়ন ব্যবস্থা আমার কাছে খুব ভালো লাগছে ও সহজ লাগছে।
শিক্ষক তারিকুল ইসলাম বলেন, নতুন কারিকুলাম সম্পর্কে পাঠদানের আগে আমরা শিক্ষকেরা নিজেরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি যাতে করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ও শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নে সরকারের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সফল হয়।
এ বিষয়ে শিক্ষকেরা জানান, নতুন কারিকুলামে ষাণ্মাসিক মূল্যায়নে কারণে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার চাপ নেই। তারা গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করছেন এবং তাদের কোচিং ও গাইড পড়ার প্রবণতা কমছে।
ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো নুরুল আমিন বলেন, নতুন কারিকুলামের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে যে ভ্রান্ত ধারণা ছিলো সেটা এই ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন থেকেই কেটে যাবে। কোচিং বানিজ্য বন্ধ হবে, গাইড ছাড়া পড়তে পারবে না সেরকম চিন্তা থাকবে না। পরীক্ষার আগ মুহূর্তের চাপ নেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে।