ঢাকা রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪ , ২০ আশ্বিন ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

‘নির্বাচনের রোডম্যাপ’ চায় বিএনপি

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:২০, ৬ অক্টোবর ২০২৪

সর্বশেষ

‘নির্বাচনের রোডম্যাপ’ চায় বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করে ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সমাবেশে তোলা দাবিটি এবার সরাসরি সরকার প্রধানের কাছেই তুলে ধরল তারা।

গতকাল শনিবার বিকালে সংলাপ থেকে বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমরা একটা রোড ম্যাপ দিতে বলেছি। নির্বাচন কমিশন কবে নির্বাচন করবে সে ব্যাপারে একটা রোড ম্যাপ দিতে বলেছি।

বেলা আড়াইটা থেকে এক ঘণ্টা ফখরুলের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করেন। সংলাপে ছয় সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

এক ঘণ্টা বৈঠকের পর জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন সংস্কার কমিশনে না যায়, সে কথা আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। আমরা ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের ‘ভুয়া ভোটে’ নির্বাচিত সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে যেসব প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনারসহ ছিলেন, ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ নির্বাচন করার অভিযোগে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি।

ফখরুল বলেন, উনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদেরকে বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান উনাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার।

বিএনপির দাবির বিষয়ে তিনি কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়গুলো অত্যন্ত সহযোগিতার সঙ্গে তারা দেখছেন। তারা মনে করেন আমাদের দাবিগুলো জনগণের দাবি, আমাদের দাবিগুলো তাদেরও দাবি।

এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার অসাংবিধানিক উল্লেখ করে রায় দেওয়ার কারণে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগ আনার দাবিও জানিয়েছে বিএনপি।

ফখরুলের অভিযোগ, বিচারপতি খায়রুলই ‘সংবিধান ধ্বংস ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের ‘মূল হোতা’।

বিচার বিভাগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা বলেছি যে, হাই কোর্ট বিভাগে এখন পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি। হাই কোর্ট বিভাগে বেশিরভাগ নিয়োগই ছিল ‘দলীয় ভিত্তিতে’ এবং প্রায় ৩০ জন বিচারক বহাল তৈবিয়তে কাজ করছেন এখনও। এদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।

কিছু বিচারককে ‘দলকানা’ আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, “তাদের অপসারণের কথা বলেছি। একই সঙ্গে অতি দ্রুত পিপি ও জিপি নতুনভাবে নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছি।

প্রশাসনে ‘ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর’ কর্মরত আছেন অভিযোগ করে তাদেরকে অপসারণ, ডিসি নিয়োগে নতুন ফিট লিস্ট এবং যেসব ডিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের নিযোগ বাতিল, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিলের দাবি তোলার কথাও জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, আমরা গত ১৫ বছর ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত সরকারি কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি নিশ্চিত করার জন্য বলে এসেছি।”

সাবেক মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে, কার সহযোগিতায় পালাচ্ছে, এই বিষয়গুলো দেখার জন্য বলেছি।

যাদেরকে দুর্নীতি ও হত্যার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, এটা খুব উদ্বেগজনক। এই বিষয়টা আমরা দেখার জন্য বলেছি। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শেখ হাসিনার শাসনামলে সকল মিথ্যা, ‘গায়েবি’ মামলা প্রত্যাহারের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা ও প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে কারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ‘গুম-খুনের’ সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিও জানান মির্জা ফখরুল।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে দুটি রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বিএনপির পরে তাদের সংলাপ হয়। সংলাপ শেষে বেরিয়ে সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা করেন জামায়াত নেতারা। সংলাপে জামায়াতের পক্ষ থেকে সংস্কারকে এক নম্বর অগ্রাধিকার হিসেবে তুলে ধরা হয় বলে জানান শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সংস্কারের সময় কী হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা দুটি বিষয় চেয়েছি, একটা রোডম্যাপ হবে সংস্কারের, আরেকটা নির্বাচনের। সংস্কার সফল হলে নির্বাচন সফল হবে। দুটি বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।

জনপ্রিয়