বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শতাব্দীর প্রাচীন এই উৎসব যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। এই উৎসবের দরজা কখনো বন্ধ থাকে নাই।
আমরা এই উৎসবের বেদিতে দাঁড়িয়ে এখানে এক-একজন ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের হতে পারি, (কেউ হিন্দু, কেউ বৌদ্ধ, কেউ মুসলিম)। কিন্তু আমরা তো একই ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে আছি। একই আলো-বাতাস-জলের মধ্যে অবগাহন করি। এই অবগাহনের মধ্য দিয়ে আমাদের ঐশিক চিন্তা জাগ্রত হয়েছে। জাগ্রত চেতনাকে বিভাজনের রেখা দিয়ে আর বিভক্ত করা যাবে না। শুধু নিজের স্বার্থের জন্য ওরা জঙ্গি, ওরা সাম্প্রদায়িক যে বিভেদ রেখা তৈরি করা হয়েছিল সেটা আর করতে পারবে না।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, যারা বিবাদের বাণী শুনিয়েছে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যক্তিস্বার্থে শুনিয়েছে। আমাদের এই জমাট অটুট বন্ধনকে নষ্ট করার জন্য বলেছে। হাজার বছর ধরে আমরা একসঙ্গে এদেশে বাস করছি। বৌদ্ধদের আমল, হিন্দুদের আমল, মুসলমানদের আমল। বিভিন্ন আমল থাকতে পারে কিন্তু এই উৎসবের কোনো আমল ছিল না। ছিল মহামিলনের একটি জায়গা, একটি প্রাঙ্গণ। সেই প্রাঙ্গণ যাতে কেউ বিনষ্ট না করতে পারে আমাদের সবাইকে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আজ সবাই একসঙ্গে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এই দুর্গাপূজার উৎসবকে আরx বেশি উন্মুক্ত, আরো বেশি উদ্বেলিত করার জন্য প্রত্যেকটি সম্প্রদায়ের মানুষ মিলে পাহারা দিচ্ছে যাতে কোনো কুচক্রী মহল তাদের উদ্দেশ্য সাধন করতে না পারে।
বিএনপি নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এই উৎসবকে আরো আনন্দদায়ক করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হয়েছেন এবং হবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের নেতা মাসুদুর রহমান ও রাজু আহমেদ প্রমুখ।