পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুদকের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
অন্য আসামিরা হলেন পাসপোর্টের সাবেক পরিচালক ফজলুল হক, মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম, টেকনিক্যাল ম্যানেজার সাহেনা হক ও বিভাগীয় পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ইস্যু হওয়া পাঁচটি পাসপোর্টের তথ্য সামনে আসে। পরে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে গত ২৫ জুন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দুইজন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও দুইজন পরিচালকসহ আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নজিরবিহীন জালিয়াতির মাধ্যমে বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি। এমনকি পাসপোর্টে পুলিশ পরিচয় আড়াল করেন বেনজীর। কিন্তু নবায়নের সময় এই জালিয়াতি ধরা পড়লে আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
শুধু পাসপোর্ট জালিয়াতি নয়, বেনজীরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে ঢাকায় মোট ১২টি ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জেলায় ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) পাওয়া গেছে।
ইতোমধ্যে এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের ওই আদেশ আসার আগেই গত ৪ মে বেনজীর আহমেদ দেশ ছাড়েন।
উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদ ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।