ঢাকা শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪ , ১৬ কার্তিক ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের অর্থপাচারের অনুসন্ধানে সিআইডি

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

সর্বশেষ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের অর্থপাচারের অনুসন্ধানে সিআইডি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সিআইডির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক ভূমিমন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।

সিআইডি জানায়, ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে সাইফুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে নাহার ম্যানেজমেন্ট ইনকরপোরেটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। থেকে বিভিন্ন সময় এই প্রতিষ্ঠানের নামে যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি ফ্ল্যাট কেনেন। এছাড়াও ২০১৪ ও ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবসা করার জন্য দুবাইয়ে র‌্যাপিড র‌্যাপ্টর এফজিই এবং জেবা ট্রেডিং এফজিই নামে দুটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। সাইফুজ্জামানের স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরীর নামে আল-বারশা সাউথ-থার্ড এলাকায় কিউ গার্ডেন্স ও বুটিক রেসিডেন্সে দুটি ফ্ল্যাট কেনেন, যার দাম ২২ লাখ ৫০ হাজার ৩০০ দিরহাম। ২০১৬ থেকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং আরব আমিরাতে ৬২০টি বাড়ি কেনেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৮ কোটি ডলার। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১০ থেকে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নিজের ও স্ত্রী রুখমিলা জামানের নামে যুক্তরাজ্য ও দুবাইয়ে ৮টি প্রতিষ্ঠান খোলেন, যার স্থায়ী ও চলতি সম্পদের মূল্য ২১ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

অভিযোগ আছে বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসব কোম্পানি খুলে বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত যে ২১টি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সেই তালিকায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী বা তার পরিবারের কারো নাম নেই।

ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী যে সম্পদ বিবরণী জমা দেন, সেখানে তার বিদেশে থাকা সম্পদের কোনো তথ্যও নেই। অর্থ পাচার, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুসারে সম্পৃক্ত অপরাধ বিধায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।

জনপ্রিয়