নয় বছর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চার জনের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বাতিল করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
প্রায় সাত বছর আগে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।
মামলা থেকে খালাস পাওয়া বাকিরা হলেন- একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান ও জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কনক সারওয়ার।
তারেক রহমানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, কায়সার কামালসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে সালামের আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করেই বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট রায় দিল।
আবদুস সালামের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক।
রায়ের পর অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল বলেন, “আদালত বলেছেন এ মামলার কোনো ভিত্তি নেই। মামলাটির চার্জশিট (অভিযোগপত্র) মেকানিক্যাল। মামলার চার আসামিই এই আদেশের সুবিধা পাবেন।”
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, “লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য একুশে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দিতে এবং প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতি ঘৃণা তৈরি করতে চেয়েছিলেন।“
২০১৫ এর ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করে।
তেজগাঁও থানার এসআই বোরহান উদ্দিন ওই বছরের ৮ জানুয়ারি ওই থানায় তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৬ এর ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পরিদর্শক এমদাদুল হক।
সেখানে তারেক ও সালামের সঙ্গে যোগ করা হয় একুশে টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান এবং জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কনক সারওয়ারের নাম।
পরে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। হাই কোর্টের রায়ের পর মামলাটিই বাতিল হয়ে গেল।