চুরি-চামারি হয়ে থাকলে হয়েছে, তবে ভবিষ্যতে যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সমুদ্র বন্দর, বড় বড় নদীবন্দর, বেশ কিছু স্থলবন্দরের অনিয়ম। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এগুলো আমরা ধীরে ধীরে দূর করার চেষ্টা করছি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সোনাকান্দায় নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ (ডিইডব্লিউ) এবং ডিইপিটিসি-তে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে আনন্দ শিপইয়ার্ড পরিদর্শনে যান উপদেষ্টা।
বন্দরে অনিয়মের বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত বলেন, অনেকে জানিয়েছে— কয়েকজন মিলে দখল করে রেখেছে, গণমাধ্যমেও এসেছে। এগুলো দখলমুক্ত করা বড় চ্যালেঞ্জ। সবার জন্য যেন উন্মুক্ত থাকে, পার্টিকুলার কারো হাতে যেন না থাকে তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, দু’মাসের মধ্যে সবকিছু আলাউদ্দিনের চেরাগের মতো চক চক করবে তা না। প্রত্যেক জায়গায় জঞ্জাল তৈরি হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করছি জঞ্জাল ছুটাতে। তবে ছুটাতে ছুটাতেই আমাদের ৩ মাস হয়ে গেল। এখনো ছুটেছে বলে মনে করি না।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, নদী দখলমুক্ত হবে। এখানে সুন্দর ওয়াকওয়ে হয়েছে। আমরা এখনো দেখি ভবিষ্যতে হয়ত একদিন মর্নিং ওয়াকে আসবো। প্রশ্ন হল এখানে কী চুরি-চামারি হয়েছে? হয়ে থাকলে হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করবো।
সন্দীপের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ হল সন্দীপ। আমাদের লক্ষ্য সন্দীপের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা। ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরু দিকে এই ফেরিগুলো নামবে।