ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর মহাখালীতে রেললাইনে রিকশা ফেলে অবরোধ পালন করছেন চালকরা।
বৃহস্পতিবারের (২১ নভেম্বর) এমন অবরোধ কর্মসূচিতে রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া রাজধানীর সবগুলো মূল সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের উদ্যোগ নেয়। এতে ক্ষুব্ধ রিকশাচালকরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবরোধ কর্মসূচি পালন শুরু করেন। এতে সৃষ্ট যানজটে ভোগান্তি পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বসিলা, শিয়া মসজিদ, আগারগাঁও, মিরপুর, মাজার রোডসহ বেশিরভাগ সড়কই অবরোধ করছেন তারা। মহাখালীতে ট্রেন লাইনে রিকশা রেখে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এতে রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তারা ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন।
মহাখালীতে অবরোধ কর্মসূচিতে থাকা নাছিম আখতার নামের একজন বলেন, আমরা শরীরে খাইট্টা খাই। সারা দিন রিকশা চালাইয়া যেই টাহা পাই হেইডা দিয়া রাইতে বাজার করি। দুইদিন ধইরা রিকশা বন্ধ, বাসায় বাজারও বন্ধ। এইভাবে আমাগো পেটে লাথি মারলে তো না খাইয়া মরতে হইব। তাই আমরা অবরোধ পালন করছি। ট্রেন বন্ধ হইলে আমাগো কিছু যায় আসে না। রিকশা চালাইতে দিলে ট্রেনও চলব, নইলে আমরা হগল কিছু বন্ধ কইরা দিমু।
ট্রেন যোগাযোগ বন্ধের কারণে বিপাকে পড়েছেন রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে।
বসিলা এলাকার এক রিকশাচালক বলেন, সকালে রিকশা নিয়া বের হওয়ার পর আমার রিকশার তার কাইটা দিছে। আমি কারণ জিজ্ঞাসা করলে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারছে। আমাদের দাবি, আমাদের রোজগারের পথ বন্ধ করা যাবে না।
মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকায় যানজটে আটকে থাকা এক যাত্রী বলেন, আধাঘণ্টা ধরে এখানে আটকে আছি। অফিসের সময় পাড় হয়ে গেছে কিন্তু রাস্তা ক্লিয়ার না হওয়ায় যেতে পারছি না।
প্রসঙ্গত, রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত।