চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য পড়াশোনা শেষে এক বছর পর্যন্ত রাষ্ট্র থেকে ভাতা দেয়ার ব্যবস্থার বিষয়টি বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত আছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে খসরু এসব কথা জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে বড় পরিবর্তন এসেছে। যেসব রাজনৈতিক দল বা নেতা এই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন না, তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
আমির খসরু বলেন, যারা পড়াশোনা শেষ করে এক বছর পর্যন্ত চাকরি পাবেন না, রাষ্ট্র তাদেরকে এই এক বছর ভাতা দেবে- বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবে এটি অন্তর্ভুক্ত আছে। এ ছাড়া আমরা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ রেজিস্ট্রেশন চালু করবো। এখানে কেউ রেজিস্ট্রেশন করলে তাকে দক্ষতা অনুযায়ী রাষ্ট্র চাকরির ব্যবস্থা করবে।
রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে দেশের উন্নয়নে যেকোনো কিছু করা সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি প্রজেক্টের ডেলিভারি সিস্টেমে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এই স্বচ্ছতার অভাব দূর করে সমন্বয় করা গেলে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যায়। আমরা এমন এমন প্রেজেক্টে বিনিয়োগ করেছি, যেখান থেকে কোনো রিটার্ন আসেনি। এমন প্রজেক্ট করতে হবে, যেখান থেকে দেশের মানুষ উপকৃত হবে। ওয়েলফেয়ার স্টেটের কনসেপ্টে আমরা নর্ডিক দেশগুলো অনুসরণ করতে পারি।’
খসরু বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা ইউনিভার্সাল হেলথ কেয়ারের কথা বলেছি। এটা ইউকের মডেলে করা। বাংলাদেশের চিকিৎসার খরচ আফগানিস্তানের চেয়েও বেশি। এই মডেল বাস্তবায়ন হলে মানুষের খরচ অনেক কমে আসবে। আর এতে করে আয় বৈষম্য কমে আসবে। মানুষকে সেবা দিতে পারলে আপনা থেকে দেশের রাজস্ব আদায় সহজ হবে।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা জানান, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বিবেচনায় বিএনপি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতের উপর।