দায়িত্ব নেয়ার পরপরই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে যান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)-সহ নির্বাচন কমিশনরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) শপথ গ্রহণ ও প্রথম দিনের অফিস শেষে বিকেলে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান পঙ্গু হাসপাতালে যান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার।
এসময় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কেবিনে ভর্তি থাকা আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তারা।
দায়িত্ব নেয়ার পরপরই চিকিৎসার খবর নিতে যাওয়ায় পুরো কমিশনকে ধন্যবাদ জানান অভুত্থানে আহতরা। একইসঙ্গে উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচনের আয়োজনে, নিজেদের প্রত্যাশার কথাও কমিশনের কাছে তুলে ধরেন জুলাই অভ্যুত্থানকারীরা।
এর আগে বিকেলে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন ভবনে আসেন সিইসি ও অন্য চার কমিশনার। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন নবনিযুক্ত সিইসি।
নবনিযুক্ত সিইসি এ এস এম নাসির উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিতর্ক চলছে। সেই বিতর্ক শেষ হলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না বলা যাবে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গণমানুষের চাওয়া পূরণে কাজ করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সিইসি নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বলেন, ‘সংস্কার কমিশনসহ সবার পরামর্শ নিয়ে যখন মনে হবে ভোট করা যাবে, তখন ভোটের তারিখ দেব। এর আগে ভোটের সময় নিয়ে কিছু বলা সম্ভব না। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি আমাদের তরফ থেকে আজ থেকেই নেব।’
অন্য চার কমিশনার হলেন: অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, জেলা ও দায়রা জজ (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুর রহমানেল মাসুদ, যুগ্ম সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।