চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহতের ঘটনায় মিথ্যাচার করছে ভারতের গণমাধ্যম।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি জানান, হত্যায় জড়িতদের অবশ্যই বিচার করা হবে।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে প্রেস সচিব জানান, ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চায় বাংলাদেশ। তবে সেটা হতে হবে সমতার ভিত্তিতে, যেন উভয়পক্ষের স্বার্থ রক্ষা হয়।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতারের পর গত ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে চট্টগ্রাম কারাগারে নেয়ার সময় আদালত এলাকায় শুরু হয় সহিংসতা। এসময় খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসকন সমর্থকদের দায়ী করেন আইনজীবীরা।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারত বিবৃতি ও পালটা–বিবৃতিসহ নানা কর্মসূচি দেয় দুদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ভারতের গণমাধ্যমগুলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অভিযোগ তোলে।
এসব অভিযোগ অপপ্রচার দাবি করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তিনি জানান, ঘাতকদের চিহ্নিত করতে এরই মধ্যে ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। অবশ্যই দায়ীদের বিচার করা হবে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার ঘটনায় আমরা অলরেডি ফুটেজ পেয়েছি। ঘাতকদের চিহ্নিত করে অবশ্যই তাদের বিচার করা হবে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এ ঘটনায় বরং রাজনৈতিক দলগুলো শান্ত রয়েছে, কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। যারা মার্ডারটা করল তাদেরকে খুঁজে বের করা, তাদেরকে আইনের সামনে আনা এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় তাদেরকে যেন আমরা বিচার করতে পারি সে ব্যবস্থা নেওয়া। ভারতীয় মিডিয়ায় যেসব খবর প্রচারিত হচ্ছে তার বেশিরভাগই টুইসটেড ও অপপ্রচার।’
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন প্রেস সচিব। তিনি জানান, অবশ্যই বাংলাদেশ ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চায়। তবে সেটা হতে হবে সমতার ভিত্তিতে। যেন উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা ভারতীয় সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়েছি আপনারা এসে দেখে যান কতটা দাঙ্গা এখানে চলছে। কিন্তু তারা আসছেন না, বরং প্রপাগান্ডা ছড়িয়েই যাচ্ছেন। তারা বিশ্বের সামনে এটা প্রচার করতে চাইছে যে বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে। আমরা চাই ভারতের সাথে একটি সুসম্পর্ক তৈরি হোক। আমরা ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চাই এবং অবশ্যই এটা ফেয়ারনেস ও ইক্যুইটির ভিত্তিতে হতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের স্বার্থটা দেখতে হবে। তারা তাদের স্বার্থ দেখুক, কিন্তু আমাদের তো আমাদের স্বার্থটা দেখতে হবে। আগে এটা অনুপস্থিত ছিল। আগে আমাদের স্বার্থটা দেখা হতো না।’
সংস্কার বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, এরই মধ্যে ১৫টির মতো কমিশন করা হয়েছে। তারা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিলে রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে নির্বাচনের দিকে যাবে সরকার।