নবনিযুক্ত ১৪তম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রথম সভা সোমবার (২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিনের সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সভায় চার নির্বাচন কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন (কার্যপ্রণালী) বিধিমালা ২০১০-এর বিধি ৩(২) অনুযায়ী প্রথম সভাতে কমিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিষ্পন্নের জন্য চারটি পৃথক কমিটি গঠন করা হবে। চারজন নির্বাচন কমিশনারকে এসব কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে।
গত ২১ নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন কমিশনকে নিয়োগ দেয়া হয়। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন এ কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে আনুষ্ঠানিক এ সভার মধ্য দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মযজ্ঞও শুরু হবে।
কমিশনের প্রথম সভার আলোচ্যসূচিতেও সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
আাাগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হবে সভায়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত আলোচনাও প্রথম সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে। সভায় সংসদের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত প্রাপ্ত আপত্তিসমূহের বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করা হবে।
সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী সুষ্ঠু ও নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ইসির কর্তব্য।
সিইসি নাসিরউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন বিগত বছরগুলোর নানা অভিযোগ আমলে নিয়ে স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নে গুরুত্ব দেবেন। আজকের সভায় ভোটার তালিকা প্রণয়নের পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভোটার তালিকা ও জনসংখ্যার চূড়ান্ত বিন্যাসের ওপর ভিত্তি করে সংসদীয় সীমা নির্ধারণ করা হয়। বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোতে সংসদীয় সীমা নিয়ে বিএনপি-জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকায় সভায় এসংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা করবেন কমিশনাররা।