হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালু হতে আরো ১ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। এ সময় শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে দুর্নীতি হয়ে থাকলে সেটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) এভিয়েশন ও পর্যটন সাংবাদিকদের সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এফ হাসান আরিফ একথা বলেন।
এর আগে নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান বলেন, নকশায় ভুল ও কয়েক বছরের ব্যবধানে ৭ হাজার কোটি টাকার তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার কেটি টাকা। বাহ্যিকভাবে এ টার্মিনাল সুন্দর মনে হলেও সর্বস্তরে নিম্নমানের সামগ্রী, অখ্যাত ব্র্যান্ডের অনেক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে। যা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তৃতীয় টার্মিনালে কোয়ালিটি সার্ভিস দেবে জানিয়ে বিমানের পরিচালক বলেন, তৃতীয় টার্মিনালে একসঙ্গে ২০টি ফ্লাইট পরিচালনায় বিমানের ১ হাজার জনবলের ঘাটতি রয়েছে। স্বল্পতা রয়েছে যন্ত্রপাতির। তবে সবকিছুই সমাধান প্রক্রিয়াধীন।
আর এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, কোনো দেশেই শহরের মাঝখানে এয়ারপোর্ট হতে পারে না। তৃতীয় টার্মিনাল কতটুকু অপারেশনাল সুবিধা কতটুকু বাড়বে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। শহরের মধ্যে এয়ারপোর্ট রেখে এভিয়েশন হাব হিসেবে স্বপ্ন দেখা যাবে না।