ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর বলেছেন, বিশ্বে সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দাবিদার ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কুটনৈতিকদের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ জন্য ভারতকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ভারত সরকার বাংলাদেশ হাইকমিশন, উপহাইকমিশনসহ কুটনৈতিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে ভারত থেকে মিশন ফিরিয়ে আনা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কলকাতা ও আগরতলায় ভারতের সরকার দলীয় উগ্র কর্মীরা বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলা করেছে। এমনকি দূতাবাসের ওপর থেকে বাংলাদেশি পতাকা নামিয়ে টেনে হেঁচড়ে ছিড়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিজেপি সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ভারতে একের পর এক বিক্ষোভের মধ্যে আগরতলার ত্রিপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনে যে হামলা চালানো হয়েছে কোন সভ্য জাতি তা করতে পারে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকার দলীয় উগ্রপন্থীদের হুমকির মুখে কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ও উপহাইকমিশন চরম নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছে। আন্তর্জাতিক আইন এবং ভিয়েনা কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন ও কুটনৈতিকদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া, উপহাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশ বিরোধী ভারতীয় উসকানির প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।