জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ও হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া, জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে আরেক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর তাকে আদালতে আবারও হাজির করা হবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী এমএইচ তামিম জানান, এখন পর্যন্ত ৭০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। কেন বাকি আসামিরা গ্রেফতার হচ্ছে না, তার দায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
এর আগে, গত ২ ডিসেম্বর আমির হোসেন আমু ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখাতে আবেদন করে প্রসিকিউশন। ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। শুনানি শেষে আদালত এই দুই আসামিকে ৪ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেন।
এরও আগে, গত ৬ নভেম্বর আমির হোসেনকে আমুকে এবং ১৯ নভেম্বর কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে হত্যার ঘটনার গ্রেফতার দেখানো হয়।