ভারত সীমান্ত এলাকায় ড্রোন মোতায়েন করেনি বাংলাদেশ। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ভারতের অন্যতম সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে দাবি করে, পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় তুরস্কের তৈরি অত্যাধুনিক ‘বায়রাকতার টিবি ২’ ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে ওই তথ্য উড়িয়ে দেয়া হয়। পোস্টে বলা হয়, সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবরটি ভুয়া ও বানোয়াট। খবরটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি সাজানো অভিযানের অংশ।
এদিকে গতকালই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যে কোনও ধরনের ষড়যন্ত্র জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনারা।
গতকাল শনিবার রাজধানীর রাওয়া ক্লাবের সামনে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরূদ্ধে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এমন ঘোষণা দেন সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনারা।
তারা বলেন, সাংবাদিক ভাইদেরকে অনুরোধ করছি। আপনারা আপনাদের পেছনের যে সাংবাদিকতা করেছিলেন সেগুলো ভুলে যান। আপনারা জানেন যে প্রকৃত সাংবাদিকতা কি। লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা আপনারা পরিহার করুন। আপনারা দেশ এবং জাতির স্বার্থে বাংলাদেশকে আরও আগে সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারবেন। আপনাদের সেই রকম ভূমিকা এ দেশের জনগণ দেখতে চায়।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা বলেন, আপনাদেরকে আমরা আরও আশ্বস্ত করতে চাই, সশস্ত্র বাহিনীর লক্ষ লক্ষ প্রশিক্ষিত সৈনিক, হাজার হাজার প্রশিক্ষিত অফিসার, আমরা সব সময় এ দেশের জনগণের পাশে ছিলাম, আমরা থাকব। আমরা যে কোনও প্রয়োজনে দেশের জন্য আমাদের জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। আমরা যে আজকে ঐক্যবদ্ধতার ডাক দিয়েছি, আমাদের এই প্রচেষ্টা আজকের এই সমাবেশে শেষ নয়।
ভারতের উদ্দেশে তারা বলেন, শুধু আমরা সশস্ত্র বাহিনীই নয়, আমাদের সতের কোটি জনতা আছে আপনাদেরকে সীমান্তেই রুখে দিতে।
তারা আরো বলেন, আমরা কোনো ধরনের নতজানু নীতি কোনো অবস্থাতেই আশ্রয় প্রশ্রয় দেব না।
এছাড়াও বিগত সরকারের সময়ে ভারতের সাথে করা চুক্তিগুলো প্রকাশের দাবি জানানো হয় সমাবেশে। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা।
সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ এ সমাবেশ আয়োজন করে।
এর আগে ইন্ডিয়া টুডের খবরে দাবি করা হয়, ধারণা করা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। মূলত এ ধরনের ড্রোনগুলো নজরদারি এবং নির্ভুল আঘাত হানার সক্ষমতার জন্য পরিচালনা করা হয়। ভারতের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেন নেক’ অঞ্চল ঘিরে এই ড্রোন মোতায়েন উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে ভারত।