লো কমোড ব্যবহার করতে কষ্ট হয় সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। তাই পলকের জন্য হাই কমোড চেয়ে আবেদন করেছেন তার আইনজীবী।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখারপুলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদল নেতা মানিক মিয়াকে হত্যার ঘটনায় পলকের বিরুদ্ধে করা রিমান্ড আবেদনে এই আর্জি জানান তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক শেখ হাদীউজ্জামান তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, পলককে ৪৬ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি ৩১ দিন রিমান্ডে ছিলেন। ৯ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জরুরিভিত্তিতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দেখা যায়, তিনি কোমর ব্যথায় ভুগছেন। এ অবস্থায় তিনি ট্রাভেল করতে পারবেন না। লো কমোড ব্যবহার করতে পারবেন না, হাই কমোড লাগবে। বারবার তাকে রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনো তথ্য উদঘাটন হচ্ছে না। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তার রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
জবাবে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা একটা লিস্ট পেয়েছি। সেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১৫৮১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তো ১৫৮১টি মামলা হওয়া উচিত। আর কোর্টে আসলে অসুস্থতার শেষ নেই। কোর্টে আসার মতো পরিস্থিতি থাকে না। বাইরে থাকলে হত্যাকাণ্ড চালাতে দ্বিধাবোধ করেন না। আরও হত্যা মামলা তার বিরুদ্ধে আসতে পারে’।
শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট ঢাকার চানখারপুলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান মুন্সীগঞ্জের ছাত্রদল নেতা মানিক মিয়া। এ ঘটনায় রাজু আহমেদ নামে একজন বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে শেখ হাসিনাসহ ৭৯ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার দুই নম্বর এজাহারনামীয় আসামি পলক।