জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা তৈরি করে পরবর্তীউপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনবিষয়ক এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে সায়েদুর রহমান এসব কথা জানান।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আগামী সোমবারের (২৩ ডিসেম্বর) মধ্যে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা তৈরি করে পরবর্তী ক্যাবিনেটে পাঠানো হবে। এ তালিকা সর্বশেষ তালিকা নয়। এখনো তথ্য যাচাই-বাছাই ভেরিফিকেশনের কাজ চলছে। পরে আরো শহীদদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেলে সেটাও আমরা তালিকায় এনে ক্যাবিনেটে পাঠাব।’
সভায় গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের দলনেতা খন্দকার জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৮৫৯ জন শহীদের ভেরিফাইড তথ্য আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট থেকে পেয়েছি। এটা যদিও চূড়ান্ত নয়। এ ব্যাপারে কাজ অব্যাহত আছে।’
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রোগীদের খাবারের মানোন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানোর ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি, বরাদ্দ বাড়াতে খাবারের মানে দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাবে। এ ছাড়া সব হাসপাতালে পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনো অবস্থাতেই আহত রোগীদের যেন নিজের টাকা খরচ করে চিকিৎসার জন্য কিছু কিনতে না হয়।
সভায় গণ-অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা, শহীদ ও আহতদের তালিকা চূড়ান্তকরণ, শহীদ পরিবার ও আহত রোগীদের পুনর্বাসন, পুনর্বাসনের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম জানান, এ পর্যন্ত ৫২৫ শহীদ পরিবার ও ১ হাজার ৪১০ জন আহতকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. নাজমুল হোসেন প্রমুখ।