ফ্যাসিস্ট, খুনি হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত শহীদ আরাফাতের জানাজা শুরুর আগে তিনি এমন কথা বলে।
তিনি বলেন, গণহত্যাকারীদের আমরা বাংলার মাটিতে বিচার নিশ্চিত করব এই ঘোষণা দিয়েই আমরা এক দফা ঘোষণা করেছিলাম। এক বিন্দু পরিমাণও আমরা পিছ পা হইনি। আমরা বিচার নিশ্চিত করবোই।
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, এই শহীদ বাবা-মায়ের সামনে দাঁড়ানোর সাহস আমাদের আর নেই। শহীদ আরাফাত একজন শিশু। দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে সে রাস্তায় নেমেছিল। আমাদের শহীদ হওয়ার সৌভাগ্য হয়নি, কিন্তু শহীদ ও আহত পরিবারের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশকে বিনির্মাণ করার দায়িত্ব রয়েছে।
নাহিদ বলেন, এই আন্দোলনে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। বিগত সরকারের মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর ক্ষোভ ছিল। সেই সময় তারা বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হয়েছে। আমরা দেখেছি, কীভাবে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তাদের ওপর পুলিশি নিপীড়ন হয়েছে। তবুও তারা রাস্তায় নেমে লড়াই করেছে, আমরা তাদের স্যালুট জানাই।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সমাজের বিভাজন দূর হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার সমাজের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে রেখেছিল। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা তা দূর করেছি। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ আছি।
শহীদ ও আহত পরিবারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভূষিত করে পুনর্বাসন করা হবে বলেও জানান তিনি।
গণহত্যার বিচার করা এই সরকারের প্রাধান্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, কষ্ট হয় যখন আমরা দেখি, অনেকেই গণহত্যাকারীদের বিচার বাদ দিয়ে নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। আমরা সব দাবি-দাওয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আমরা যে কাজ করতে সরকারে এসেছি, তা বুঝতে হবে। আমাদের সহায়তা করতে হবে। সব গণহত্যা ও গুম-খুনের বিচারের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব সারজিস আলম বলেন, আমাদের শহীদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। আমরা যেন আমাদের ভাইদের স্বপ্নকে যেন কোন ভাবেই ভুলে না যাই। আমরা কোন শহীদের পরিবারের বাবা-মাকে তাদের সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পারব না, তবে এতটুকু বলতে পারি খুনিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।