গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে হামলায় জুবায়েরপন্থি তিন মুসল্লি নিহত ও চার শতাধিক আহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবিতে কাকরাইল এলাকায় অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তাবলীগ জামায়াতের শুরায়ে নিজামী।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কাকরাইল মসজিদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাবলিগ জামায়াতের আলেম ও উত্তরা জামিয়াতুল মানহালের প্রিন্সিপাল কেফায়েতুল্লাহ আজহারী।
তিনি বলেন, “কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গী ইজতেমার মাঠসহ তাবলিগের সব কার্যক্রম শুরায়ে নেজামীর অধীনে পরিচালিত হওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাকরাইল ও তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে।”
তিনি বলেন, “গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে যারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তাদের মূল হোতাসহ অনেকের নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। দুঃখের সঙ্গে আরো বলতে হয় যে, ১৭ তারিখ রাতে টঙ্গীর মাঠে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ও তাদের দোসররা যোগসাজশ করে সাদপন্থিদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি নীল নকশা করেছিল। তাদের এ নীল নকশা বাস্তবায়নে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ ও ইসরাইলের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আক্রমণকারী সন্ত্রাসী সাদপন্থিদের সব কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরের হামলার সঙ্গে জড়িত সব আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।”