পার্বত্য চট্টগ্রাম (সিএইচটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আজ (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বান্দরবানের লামা উপজেলায় অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিপুরা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের দেখতে যাচ্ছেন।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে জরুরি ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের মতে, আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসাগুলো ছিল তাদের অস্থায়ী টং ঘর।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন ও বান্দরবান পুলিশ সুপার শাহিদুল্লাহ কাউসার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন, যাদের অস্থায়ী ঘরগুলো ওই হামলায় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, এই অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এফআইআর (এজাহার) দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর দাখিলকারী ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এক প্রবীণ ব্যক্তি এই ঘটনার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ত্রিপুরা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ছয় সদস্য ও এক বাঙালি মুসলমানকে অভিযুক্ত করেছেন।
পুলিশ ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ধারণা করছে, এই অগ্নিসংযোগ দীর্ঘদিন ধরে চলা দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
পুলিশ সদর দফতর থেকে জানা যায়, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে লামা থানার তংঙঝিরি ত্রিপুরা পাড়ায় দুর্বৃত্তরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ত্রিপুরাদের ১৬টি ঘরে আগুন দেয়। এতে আনুমানিক প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে, অগ্নিসংযোগে পুড়ে যাওয়া ঘর আবারও নির্মাণসহ সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য নির্দেশও দেন তিনি।