গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে লেয়ারের পর লেয়ার ফ্যাসিবাদের দোসরদের যে বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে সেটা ১/২ দিনে ৪ মাসেই সেটার নিরসণ সম্ভব নয়। সেটার জন্য সমর্থন লাগবে। জনগণের পক্ষ থেকে প্রেশার লাগবে। আপনারা দেখছেন, বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে। আমার বিস্তারিত বলার দরকার নাই। বারে বারেই জাতীয় পতাকাকে খামচে ধরার চেষ্টা করছে পুরানা শকুন। প্রতিহতের জায়গা আমাদের বজায় রাখতে হবে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই কথা বলেন।
খালি ঐক্যের কথা বললাম, প্রতিহতের জন্য তৈরি থাকলাম না, নিয়ন্ত্রণটা ছেড়ে দিবেন না। যখন নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিবেন, আপনাদের হাতের বাহিরে চলে যাবে বলেও মন্তব্য করেন গণপূর্ত উপদেষ্টা।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, আজকে বলা হচ্ছে ঐক্যের কথা, সংস্কারের কথা, বলা হচ্ছে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের কথা। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক সংবিধানের আকাঙ্খা। দীর্ঘদিনের যে আকাঙ্ক্ষা আজকে যে সংলাপ শুরু হয়েছে তার মধ্য দিয়ে একটা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাবে, একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা, গত সাড়ে ১৫ বছরের যে ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিবাদের ব্রান্ডের নাম ত ছিল মুজিববাদ, বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বাংলাদেশের যে তরুণ-যুবকরা জীবন দিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন তারা আজকে কেমন বাংলাদেশ চান।
তিনি বলেন, তারা আজ বাংলাদেশটাকে কেমনভাবে গড়ে তুলতে চান, বাংলাদেশের রাজনীতিটা কেমন হবে, সংবিধান টা কেমন হবে, নির্বাচনটা কেমন হবে শুধু সেটাতেই আমরা থাকবো। তার সঙ্গে এটাও বলবো, উচ্চকক্ষ, নিম্নকক্ষ, রিপ্রেজেন্টশন কেমন হবে শুধু সেটা না স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষমতার ভিত্তি কেমন হবে।
তিনি আরো বলেন, সমস্ত ক্ষমতাকে সংবিধানে সংসদ সদস্যদের প্রতি দেয়া থাকবে নাকি স্থানীয় পর্যায়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলা হবে। যেটায় সাধারণ মানুষ, বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থান থাকবে। এই প্রক্রিয়াটাই আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটাই বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট এর ভিতর দিয়ে আসবে।