অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন সময় টিভির পাঁচ সাংবাদিকের বরখাস্তের জন্য সরকারকে দায়ী করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন । তিনি বলেন, এর জন্য একমাত্র সিটি গ্রুপই দায়ী।
শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূসের প্রেস সচিব বলেন, বারবার আমরা বলেছি, আমরা কোনো সংবাদমাধ্যমের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করি না। যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে যে কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা কোনো সাংবাদিককে নিয়োগ বা বরখাস্তের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছেন বা কোনো সংবাদ প্রকাশ বা বন্ধ করতে চাপ দিয়েছেন, আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। এর আগেও ‘আমদের সময় সময় পত্রিকা এবং বৈশাখী টিভির ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ নিয়েছি।
শফিকুল আলম আরও বলেন, আমাদের সরকার ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে মানে এই নয় যে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্দেশ মেনে চলি। যদি আমরা তা করতাম, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সময় টিভিতে গিয়ে প্রতিবাদ করতে হতো না। তারা আমাদের কাছে তাদের দাবি জানাত এবং আমরা তা সিটি গ্রুপকে কার্যকর করতে বলতাম।
বিবৃতিতে শফিকুল আলমের অভিযোগ, কিছু রাজনৈতিক নেতা সংবাদমাধ্যমের ওপর চাপ প্রয়োগ করে তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে মিল রেখে সাংবাদিকদের নিয়োগ দিতে বাধ্য করছেন।
তিনি বলেন, সময় টিভি সাংবাদিকদের বরখাস্ত করার পরিবর্তে সংবাদ সম্মেলন করে বলতে পারত যে, তারা শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে কোনো সাংবাদিককে বরখাস্ত করবে না। কিন্তু তারা সেই পথে না গিয়ে সাংবাদিকদের বরখাস্ত করে নিজেদের ভুক্তভোগী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতেও বিভিন্ন অধিকার সংগঠন ও অ্যাডভোকেসি গ্রুপ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের মালিকপক্ষ সেই চাপ মোকাবিলা করে। অথচ সিটি গ্রুপ এ ক্ষেত্রে ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে।
সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতের ঘটনায় সিটি গ্রুপের ভূমিকা উপেক্ষা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এই সমালোচকরা শেখ হাসিনার একনায়কত্বের সময় সময় টিভির ‘সাংবাদিকতা’ নিয়ে কথা বলেননি। বরং তারা মিথ্যা তুলনা করে বর্তমান পরিস্থিতিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন।”