ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য বেতনকাঠামো তৈরি করেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদে প্রেরণ এবং প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিক্রমে গেজেট প্রকাশ করা হবে। বেতন কাঠামো হবে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের পে-স্কেল অনুযায়ী।’
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণরত ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
খালিদ হোসেন বলেন, ‘মসজিদসংলগ্ন এলাকায় ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বাসা এবং উৎসব ভাতার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জীবনমান উন্নত হবে।’
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, একটি সমাজ গঠনে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিবগণ যথাযথ ভূমিকা পালন করেন। তারা ভালো না থাকলে সমাজ ভালো থাকবে না। তাই তাদের বেতন কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। ইমামদের দুটি উৎসব বোনাস প্রদানে ধর্ম মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এছাড়া মসজিদের জন্যও নীতিমালা করা হচ্ছে।
ইমামদের স্বাবলম্বী করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যে সব ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অথবা নিচ্ছেন তারা ইমামতির পাশাপাশি যাতে ছোট ব্যবসা (কুটির শিল্প, মৎস্য চাষ, খেতখামার, কবুতর পালন অথবা কোয়েল পাখি পালন) করে স্বাবলম্বী হতে পারেন, এজন্য বিনা সুদে আমরা তাদের ঋণ দিচ্ছি। অর্থাৎ আপনি সামান্য পুঁজি নেবেন, আমরা সামান্য পুঁজি দেবো। ইমামতির পাশাপাশি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হবেন, এতে লজ্জার কিছু নেই। পেটের ভাত জোগাড় করা ইবাদত, সমস্ত নবীরা নিজ হাতে কাজ করেছেন। আমি ইমাম হয়েছি বলে একটু কৃষিকাজ কি করতে পারবো না?
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, যে সব ইমাম ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস অথবা ডায়ালাইসিস করছেন, চলন শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন তাদের আমরা এককালীন অনুদান দেব, ফেরত দিতে হবে না। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে ভালো অ্যামাউন্ট আছে। আমরা চাচ্ছি ব্যাংকে পড়ে থাকা টাকাগুলোকে ইউটিলাইজ করে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের কল্যাণে কাজে লাগাতে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করবো, সেখান থেকে মিনারেল ওয়াটার তৈরি করে বাজারে সাপ্লাই দেবো। যা লাভ হবো, সেটা ইমাম-মুয়াজ্জিনদের কল্যাণ ট্রাস্টে যাবে। আমাদের সময় কম হলেও আমরা শুরু করে দিতে চাই, আর কারও কাছে আমাদের টাকাও চাইতে হবে না। আমরা প্রাথমিকভাবে নিয়ত করেছি, পানির বোতলের নাম দেব ‘ইমাম’।’