দিল্লীর সঙ্গে কূটনীতিতে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যু পাশাপাশি আলোচনা করতে চায় ঢাকা।
বুধবার (০১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেন, দু’টাই পাশাপাশি চলবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। তার বিরুদ্ধে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এরই মধ্যে অনেকগুলো অভিযোগ জমা পড়েছে। দাবি উঠেছে শেখ হাসিনার বিচারের। সরকারও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিচার করার বিষয়ে।
কিন্তু চ্যালেঞ্জ হলো ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা। উপদেস্টার কারছে প্রশ্ন ছিলো তাকে ফেরত আনতে না পারলে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কি স্বাভাবিক থাকবে? এউপদেষ্টা বলেন, এটা একটা ইস্যু। তবে আমাদের আরও অনেক স্বার্থের ইস্যু আছে। সেটাও চলবে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সব দেশের সঙ্গেই আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এই তিন দেশই আমাদের অগ্রাধিকারে থাকবে।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, নতুন বছরে আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান, এই তিন দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক-কূটনৈতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ও ভালো অবস্থা তৈরি করা।
জাতিসংঘের তদন্ত কমিটিকে বিভিন্ন সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য দেওয়ার সমন্বয়কের দাযিত্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের। তবে এখনও বেশ কয়েকটি সংস্থা প্রতিবেদন জমা দেয়নি। এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমি আশা করি, জানুয়ারির মধ্যে সব রিপোর্ট হাতে পেয়ে যাবো।
রাখাইনের পরিস্থিতি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ কওে তিনি বলেন, কারণ সেখানকার গ্রাউন্ড রিয়েলেটির পরিবর্তন হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক সফরে তার চীন যাওয়ার কথা স্বীকার করে উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, চীন যেহেতু আমাকে ইনভাইট করেছে, তাই যাচ্ছি। আমাদের অনেক ইস্যু আছে আলোচনার। তবে সেসব ইস্যু এখনই বলতে চাই না।
উল্লেখ করা যেতে পারে, আগামী ২০ জানুয়ারি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের চীন যাওয়ার কথা রয়েছে।