সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন সেবা চালু হওয়ার তিন মাসে সারা দেশ থেকে আগত আইনি পরামর্শ, মামলা সম্পর্কিত তথ্য ও অভিযোগ দাখিল সংক্রান্ত মোট এক হাজার ৩টি কল গ্রহণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে আইনি পরামর্শ সেবা গ্রহণের জন্য ৬০৪টি কল আসে। এ ছাড়া, বিভিন্ন মামলার তথ্য জানতে চেয়ে কল আসে ৩৪৪টি। এসব কলের সবগুলো তথ্যই সেবাগ্রহীতাদের তাৎক্ষণিকভাবে দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে আরো বলা হয়, বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, কাজে অবহেলা, বিলম্বে সেবা প্রাপ্তি, অসদাচরণ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিগত দুই মাসে মোট ৫৫টি অভিযোগ আসে, যার মধ্যে বিলম্বে আইনি সেবা প্রাপ্তি সংক্রান্ত অভিযোগ আসে ২২টি।
সব অভিযোগ সম্পর্কিত সেবাসমূহ ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা- কর্মচারীদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা হয়েছে। এ ছাড়া, বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, কাজে অবহেলা, অসদাচরণ ইত্যাদি সম্পর্কিত ৩৩টি অভিযোগ আসে। এর মধ্যে বিভিন্ন জেলা আদালতের বিচারকের বিরুদ্ধে ১২টি, হাইকোর্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ৩টি, জেলা আদালতের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ১২টি এবং আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ আসে।
অভিযোগ সম্পর্কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত ইতোমধ্যে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট গত ২৬ সেপ্টেম্বর হেল্পলাইন সেবা চালু করেন। মূলত, সুপ্রিম কোর্টে আগত কোনো বিচারপ্রার্থী বা সেবাগ্রহীতা সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কোনো শাখায় সেবা গ্রহণে যেকোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলে বা সেবা গ্রহণ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে অসুবিধার মুখোমুখি হলে সেবাগ্রহীতাকে সহায়তা করার নিমিত্ত হেল্পলাইন নম্বরটি চালু করা হয়। হেল্পলাইন নম্বরটি চালু হওয়ার পর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আগত যেকোনো সেবাগ্রহীতা+৮৮ ০১৩১৬১৫৪২১৬-এই নম্বরে একইসঙ্গে সরাসরি ফোন কল অথবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে সেবা গ্রহণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সেবা গ্রহণে সম্মুখীন কোনো প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতি রোববার-বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির একজন কর্মকর্তা উক্ত হেল্পলাইন পরিচালনা করেন ও সেবাগ্রহীতাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য ও পরামর্শ প্রদান করে থাকেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত সহকারী রেজিস্ট্রার থেকে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার সব কর্মকর্তার উদ্দেশে বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য সেবা সহজীকরণসহ সুপ্রিম কোর্টের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেশাগত কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ১২ দফা নির্দেশনা দেন।