প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সংস্কার না চাইলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। এবং সংস্কার বেশি চাইলে আরো ছয়মাস বেশি সময় দিতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারে গঠিত ৬ কমিশন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দেবে এবং সবার সাথে আলোচনা করেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে এ সময় জানান তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, লুটপাট-দুর্নীতি ও জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় জড়িতদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। মাইনাস টু ফর্মুলা নিয়ে সরকার ভাবছে না।
সবার সাথে আলোচনার ভিত্তিতে ভালো একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী- আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন, যা থেকে এটি স্পষ্ট যে, ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় ও তারিখ নির্ধারণ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।’
গত ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের শেষ থেকে ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের প্রথমার্ধের মধ্যবর্তী সময়ে আয়োজন করা যেতে পারে।
তিনি একটি টেলিভিশন ভাষণে বলেছিলেন, ‘বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের শেষ থেকে ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হতে পারে।’