অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় অধ্যাপক ইউনূস পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যেন- স্থানীয় সরকার সত্যিই স্থানিক থাকে এবং একটি সরকার নিশ্চিত করা যায়।
গত বছরের ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের শাসনামলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশ থেকে চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের আধিপত্যের পতন ঘটে। তারপর নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছে। রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রাতে জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের শেষ দিক থেকে ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে। যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে।
আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে আরো অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের শেষ দিক থেকে ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’