আন্দোলন-সংগ্রামে যার যেই অবদান সেটা স্বীকার করতে হবে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিভক্তির রাজনীতি যেন আমরা না করি। এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দেশকে বাঁচানোর জন্য ও গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য ঐক্য।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাজবন্দির জবানবন্দি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘বেগম জিয়া আন্তর্জাতিকভাবে যে সম্মান পেয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। কাতারের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি বিনা সংকোচে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছেন। ব্রিটিশ সরকারকেও ধন্যবাদ। কোথাও কোনো বাধা পাননি বেগম জিয়া। যেখানে যা চেয়েছে, তাই পেয়েছে বিএনপি।’
নতুন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অশুভ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরো কেউ কারো বিশ্বাস ধরে রাখতে পারছি না। ঐক্যের জায়গা ধরে রাখতে পারছি না। আগেতো বিষয়টা সেটেলড হতে হবে। সংস্কারের কথা তারা বলে, সংস্কার তো বিএনপি আগে শুরু করেছে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে ৭ আগস্ট বেগম জিয়া বলেছিলেন, ধৈর্য ধরতে হবে, কোনো প্রতিহিংসা পরায়ণ কেউ হবেন না। এই বিষয়গুলো ধারণ করতে হবে।’
গণ-অভ্যুত্থানে ত্যাগের পরো বিভক্তির রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘দেশকে বাঁচাতে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সংস্কারের পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি প্রয়োজন, তা হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিছু মানুষ কেন যেন ডেস্পারেট দেশ ও দেশের মানুষকে বিভক্ত করতে। এই বিভক্তির মধ্যে না যেতে দেশের মানুষ ও দলীয় কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’