যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। হুইল চেয়ার ও কারো সাহায্য ছাড়াই তিনি হাঁটতে পারছেন। তবে তার লিভার প্রতিস্থাপের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ছাড়পত্র পেলেই হাসপাতাল থেকে সরাসরি লন্ডনে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় যাবেন খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি কিছুদিন থাকবেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সব পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। এটা বাংলাদেশের মতো নয়। লন্ডন ক্লিনিকে সবকিছু নির্দিষ্ট নিয়মে চলে। তাই সময় লাগছে। তবে যতগুলো রিপোর্ট এসেছে উদ্বেগের কিছু নেই। বাংলাদেশের চেয়ে এখানে অনেক গুণ ভালো থরো চেকআপ হচ্ছে। হাসপাতালের পরিবেশও ভালো। এতে ম্যাডাম ভালোবোধ করছেন। কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারছেন তিনি। তবে ওয়াশরুম কিংবা অন্য জরুরি জায়গায় গেলে তাঁকে সাহায্য নিতে হয়।’
ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান নিয়মিত বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসছেন জানিয়ে ওই চিকিৎসক আরো বলেন, ‘সব পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেবে মেডিক্যাল বোর্ড। ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) সরাসরি ছেলের বাসায় যাবেন। তিনি ছেলের বাসায় যেতে ব্যাকুল হয়ে আছেন।’
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বেগম খালেদা জিয়া আগের চেয়ে ভালো আছেন। বিভিন্ন রুটিন পরীক্ষাগুলো ডাক্তাররা করছেন। যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, তার রিপোর্টের ফলাফল দেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এখানে তাঁর চিকিৎসার ধরনে কিছুটা পরিবর্তনও আনা হয়েছে। তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান সার্বক্ষণিক নানির সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।
৮০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসকার জন্য গত ৮ জানুয়ারি তাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।