ঢাকা শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ , ৪ মাঘ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করার মূলে ছিল গোয়েন্দা সংস্থা: প্রেস সচিব

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:২৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ০৮:৪৯, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

সর্বশেষ

সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করার মূলে ছিল গোয়েন্দা সংস্থা: প্রেস সচিব

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করার পেছনে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম চাই’ এর ব্যানারে ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রস্তাব: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, গণমাধ্যমের সংস্কার আমরা করতে যাচ্ছি কারণ গণমাধ্যমকে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশে যতগুলো গণমাধ্যম আছে, সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার এবিলিটি তাদের ছিল। ডিজিএফআই এর একটা ফোন কল, এনএসআইয়ের একটা ফোন কল, ডিজির একটা ফোন কল, মিনিস্টারের একটা ফোন কল এনাফ ছিল। আইসিটি নামে যেটা ছিল সেটা ন্যায় বিচার ছিল না। সেটা ভয়াবহ অন্যায় বিচার ছিল।

আমাদের দেশে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট খুবই জরুরি মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে সব সাংবাদিকদের জোরালো কথা বলতে হবে। আপনি দুই মাস খেটে একটা নিউজ করলেন, সেটা অন্য কোনো নিউজ পোর্টাল এক সেকেন্ডে কপি করে ফেলল। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর একটা ছবি তুললেন, সেটা একটা বড় পত্রিকায় আপনার অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করে ফেলল। আপনাকে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট দিতে হবে। কারণ এটি আপনার আয়ের উৎস।

তিনি বলেন, যারা চুরি করে তাদের বন্ধ করে দেয়া উচিত। প্রেস কাউন্সিল অনেক কথা বলে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অনেক কথা বলে, নোয়াব অনেক কথা বলে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো উচিত যারা এরকম চুরি করছে, তাদের বন্ধ করে দেয়া। এই চুরি করার কারণে আপনার আমার বেতনটা কমে যাচ্ছে। কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট আমাদের দেশে নাই বলে সবাই চুরি করে।

তিনি আরো বলেন, জার্নালিজম করতে হলে আপনাকে পয়সা খরচ করতে হবে। পয়সা না থাকলে আপনি গো অ্যান্ড ফাঁক অফ। আপনাকে সাংবাদিকদের বেতন দিতে হবে। জার্নালিস্টদের রক্ত এত সহজ না। জার্নালিস্টদের নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের সত্যিকার অর্থে এই বিষয়টি দেখা উচিত।

আলোচনা সভা থেকে ১৩টি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়।

প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে— গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, গণমাধ্যমে নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, সরকারি নিয়ন্ত্রণ রোধে স্বতন্ত্র গণমাধ্যম কমিশন গঠন, মালিকানা ও অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, সাংবাদিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও চাকরির নিরাপত্তা, বেতন কাঠামোর সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংস্কার, সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন, বাজেটে গণমাধ্যমের জন্য বরাদ্দ রাখা, গণমাধ্যম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজিকরণ, আঞ্চলিক ও বিকল্প গণমাধ্যমের উন্নয়ন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

আলোচনায় আরো বক্তব্য দেন- ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই এর মুখপাত্র প্লাবন তারিক, আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন শিশির, সাইবার অ্যাক্টিভিস্ট আব্বাস উদ্দিন নয়ন, আইনজীবী মোল্লা ফারুক এহসান এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রভাষক মাহবুব আলম প্রমুখ।

জনপ্রিয়