ঢাকা সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫ , ৬ মাঘ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

সংবিধান সংশোধনে অধ্যাদেশ জারির চিন্তা

জাতীয়

আমাদের বার্তা ডেস্ক 

প্রকাশিত: ১২:০৭, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৩:০৩, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

সর্বশেষ

সংবিধান সংশোধনে অধ্যাদেশ জারির চিন্তা

সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশগুলোর মধ্যে যেগুলোর বিষয়ে ঐকমত্য হয় সেগুলোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করেই নির্বাচনের দিকে যাবে সরকার। এক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টিও অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে। পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত সরকার এলে সেগুলোর আইনি বৈধতা দেবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও সংস্কার কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন এমরান এস হোসাইন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা পড়া চারটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর সমন্বয় করার কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। এ কমিশনগুলোর মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনও একই সময়ের মধ্যে জারি হতে পারে। প্রজ্ঞাপন জারির পর কমিশনগুলো পৃথক ও যৌথভাবে বসে সমন্বয়ের কাজ শুরু হবে। কমিশনগুলোর প্রস্তাব

সমন্বয় হলে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিতব্য ঐকমত্য কমিশনে তা পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে। পরে ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্বেই রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের মতৈক্যের ভিত্তিতে এটাকে চাটার হিসেবে দাঁড় করানো হবে। ওই চাটারের ভিত্তিতে গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথ চলা শুরু হবে।

এদিকে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সংবিধান সংশোধন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরনের সমঝোতা হতে পারে। সমঝোতা হলে অধ্যাদেশ জারি করে প্রয়োজনীয় সব আইন ও সংবিধানের সংশোধনী আনা হবে। পরে নতুন সংসদ গঠিত হলে সেটার বৈধতা দেবে।

ছাত্র জনতার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নানামুখী সংঘাতের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি সেক্টর যথা- সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বিচার বিভাগ সামারে পৃথক কমিশন গঠন করে। পরবর্তী সময়ে আরও পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করে ইউনূস সরকার। যেগুলোর প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলমান।

প্রথম পঠিত ছয়টি কমিশনের মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন গত ১৪ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। চারটি কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের একটা চাটার তৈরি করতে চাচ্ছি। এটা নতুন বাংলাদেশের একটা চাটার, যেটা মতৈক্যের ভিত্তিতে তৈরি হবে। আশা করছি, সব দল এই চাটারে সাইনআপ করবে।

ওইদিন বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে সরকারের দুই উপদেষ্টা সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। তারা জানান, কমিশনগুলো নিজেরা বসে এখন সমন্বয়ের কাজ করবে এবং প্রাধান্যগুলো ঠিক করবে। এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু হবে। তার আলোকে মতৈক্যের ভিত্তিতে সংস্কারের একটা রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে।

এদিকে সংস্কার কমিশনগুলোর মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলেও এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। যার কারণে কমিশনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কাজ শুরু করতে পারেনি।

সরকারের সংস্কার কার্যক্রম চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি জুলাই গণঅভ্যুথানের ঘোষণাপত্র প্রকাশের ঘোষণা দেয়। তাদের গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘোষণাপত্র প্রকাশের কথা ছিল। এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে প্রথমে জুলাই ঘোষণাকে 'প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ' উল্লেখ করলেও ঘোষণাপত্র প্রকাশের আগের রাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকারের ওই সিদ্ধান্তে ছাত্ররা ৩১ ডিসেম্বরের ঘোষণাপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। তাদের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী, ১৬ জানুয়ারি ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। ওই বৈঠকে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এটা করতে না পারলে উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। আমরা একতাবদ্ধ আছি। এ একতাকে মানুষের সামনে প্রকাশ করতে হবে। ৫ আগস্টকে রিক্রিয়েট করতে হবে।

এর আগে সরকারের তরফ থেকে একটি খসড়া ঘোষণাপত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে সরবরাহও করা হয়। এতে সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পুনরাবৃত্তি রোধ নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্থার সম্পন্ন করবে বলে অভিপ্রায় গাজ করা হয়। ঘোষণাপত্রে ফ্যাসিবাদ ও  সৈরাচারকে লালন করার দলিল ১৯৭১

অন্যদিকে ঘোষণাপত্রের স্পিরিটের সঙ্গে মিল রেখে সংস্কার কমিশন তাদের সর্বকটি প্রতিবেদন সমন্বয় করে একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসবে। এর আলোকে চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে আমাদের অল্প কিছু সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে ২০২৫ সালের শেষদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।

নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের সদস্য আব্দুল আলীম বলেন, সংস্কার কমিশনগুলো যেসব সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে সেটা তিন ধরনের। এক, সংবিধান সংশোধন। দুই, আইন সংশোধন। তিন, বিধি পরিবর্তন/প্রণয়ন। এক্ষেত্রে আইন সংশোধন অধ্যাদেশ করে বর্তমান সরকারই করতে পারবে। বিধিগুলো সংস্থা নিজেরাই করতে পারে। বড় ইস্যু হচ্ছে সংবিধান সংশোধন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট হচ্ছে আমরা সবাই পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। কাজেই এজন্য সবাইকে সমঝোতায় আসতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা ইতিমধ্যে বলেছেন, সংস্কার প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি জাতীয় চাটার তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা ওই চাটার বাস্তবায়ন করবে। এ চার্টারের মধ্যে সংবিধানের কোথায় কোথায় সংশোধন লাগবে সেটাও থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধান কমিশনের সঙ্গে আমরা আগেই বসেছিলাম। আমাদের দুটি কমিশনের সুপারিশে কিছু ক্ষেত্রে অভিন্নতা, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। যৌথভাবে বসলে এই অভিন্ন জায়গাটার মধ্যে একটা সমন্বয় হবে বলে মনে করি।

এ বিষয়ে জানেত চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লব ও জনগণের আকাঙক্ষার স্বীকৃতিস্বরুপ জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে। এটি হবে একটি ক্ষুদ্র একুমেন্ট।

সংবিধান সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল করার কথাও বলা হয়। বিচার করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয় আওয়ামী লীগ সরকারের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুটপাটের অপরাধের।

এতে ১৯৭১ এবং ১/১১-এর রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য একটি নতুন জনতন্ত্র (রিপাবলিক) প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়। ঘোষণাপত্রের খসড়ায় সর্ব ধরনের নিপীড়ন, শোষণ ও বৈষম্যর অবসান ঘটানো এবং তরুণসমাজের প্রত্যাশাকে বারণ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়।

এদিকে ১৬ জানুয়ারি মতবিনিময়ের একদিন পরে ১৮ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক বার্তায় জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে পরবর্তী কর্মপন্থা হিসেবে গণঅভ্যুত্থানে আশ নেয়া রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজন থেকে অভিমত চাওয়া হয়। আগামী ২৩ জানুয়ারি উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছে অভিমত পাঠাতে অনুরোধ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৬ জানুয়ারির বৈঠকে খসড়া জুলাই ঘোষণাপত্রের ওপর যেসব মতামত এসেছে এবং বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দল ও অংশীজানের পক্ষ থেকে যেসব মতামত আসবে তার সমন্বয় জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত হবে।

অন্যদিকে ঘোষণাপত্রের স্পিরিটের সঙ্গে মিল রেখে সংস্কার কমিশন তাদের সর্বকটি প্রতিবেদন সমন্বয় করে একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসবে। এর আলোকে চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে আমাদের অল্প কিছু সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের শেষদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।

নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের সদস্য আব্দুল আলীম বলেন, সংস্কার কমিশনগুলো যেসব সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে সেটা তিন ধরনের। এক, সংবিধান সংশোধন। দুই, আইন সংশোধন। তিন, বিধি পরিবর্তন/প্রণয়ন। এক্ষেত্রে আইন সংশোধন অধ্যাদেশ করে বর্তমান সরকারই করতে পারবে। বিধিগুলো সংস্থা নিজেরাই করতে পারে। বড় ইস্যু হচ্ছে সংবিধান সংশোধন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট হচ্ছে আমরা সবাই পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। কাজেই এজন্য সবাইকে সমঝোতায় আসতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা ইতিমধ্যে বলেছেন, সংস্কার প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি জাতীয় চাটার তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা ওই চাটার বাস্তবায়ন করবে। এ চার্টারের মধ্যে সংবিধানের কোথায় কোথায় সংশোধন লাগবে সেটাও থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধান কমিশনের সঙ্গে আমরা আগেই বসেছিলাম। আমাদের দুটি কমিশনের সুপারিশে কিছু ক্ষেত্রে অভিন্নতা, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। যৌথভাবে বসলে এই অভিন্ন জায়গাটার মধ্যে একটা সমন্বয় হবে বলে মনে করি।

এ বিষয়ে জানেত চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লব ও জনগণের আকাঙক্ষার স্বীকৃতিস্বরুপ জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে। এটি হবে একটি ক্ষুদ্র একুমেন্ট।

জনপ্রিয়