পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কর্মবিরতি পালন করছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ (গার্ড, লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার, সাব লোকোমাস্টার, টিটিই) কর্মচারী ইউনিয়ন। এতে বন্ধ রয়েছে সারাদেশে রেল চলাচল।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর থেকে শুরু হয় এ কর্মবিরতি।
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন দেয়া এবং আনুতোষিক সুবিধাসহ নানা দাবি পূরণ না হওয়ায় রাত ১২টা থেকে শুরু হয় রেলওয়ে কর্মচারীদের কর্মবিরতি। এর ফলে মধ্য রাত থেকে সারা দেশের কোনো রেলস্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যায়নি। এদিকে রেল চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তবে রাত ১২টার আগ পর্যন্ত ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো এই কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, সারাদেশে প্রায় ১৭০০ রানিং স্টাফ কর্মচারী রয়েছে। দৈনিক কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হয়। এজন্য দূরত্ব অনুযায়ী তাদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়, যাকে বলা হয় মাইলেজ। এটা তাদের বেতনের অংশ। প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন পরিচালনা করলে তারা মূল বেতনের একদিনের বেসিকের সমপরিমাণ টাকা অতিরিক্ত পেতেন। এছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয়, তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেয়া হতো।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছে।
গত ২২ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান করা না হলে ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।