বিএনপির প্রস্তাবিত জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া পাঠানো হয়েছে সমমনা দলের কাছে। চূড়ান্ত করে শিগগিরই প্রস্তাব দেওয়া হবে সরকারের কাছে। দলটি তাদের খসড়া প্রস্তাবে বলছে, স্বৈরাচারের পতনের কৃতিত্ব কোনো দল বা গোষ্ঠীর নয়। পুরো জাতির। নেতারা জানান, এতে মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি গত ১৬ বছরের আন্দোলনে সবার ত্যাগ গুরুত্ব পেয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের (৫ আগস্ট) পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দেওয়ার ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
ঘোষণাপত্র নিয়ে ১৬ জানুয়ারি সব দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তখন মতামত জানাতে সময় নেয় বিএনপি।
এরই মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরি করেছে দলটি। দলের নেতারা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান, সব রয়েছে তাদের প্রস্তাবনায়। স্বৈরাচার সরকার হটাতে ১৬ বছরে সবার ত্যাগের কথাও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও গত ১৬ বছর ধরে যারা আন্দোলন করেছে, যারা ত্যাগ স্বীকার করেছে, মৃত্যুবরণ করেছে, গুম হয়েছে, খুন হয়েছে- এদের কথা উঠে আসবে ঘোষণাপত্রের খসড়ায়। এটি আমরা কারও সাথে তুলনা করছি না। তুলনা করছি না এই কারণে, আমরা চাচ্ছি সমস্ত কৃতিত্ব জাতিকে দিতে।’
বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি জানিয়েছে, ছাত্র ও বিএনপির ঘোষণাপত্রের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। তবে এতে সংকটের আশঙ্কা নেই।
দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সংকটের কিছু নেই। তবে কিছু পার্থক্য আছে। তাঁরা ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ, গত ১৬ বছরের লড়াই- সামগ্রিকভাবে এসব বিষয় উত্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে খসড়ায়। ’