স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জে দেশের অর্থনীতির জন্য নতুন ধাক্কা অপেক্ষা করছে। তাই আসন্ন এলডিসি গ্র্যাজুয়েটে অর্থনীতিতে যে ধাক্কাটা আসবে তা থেকে পরিত্রাণে সক্ষমতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এ কারণে দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে দক্ষতার মাধ্যমে। ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়নও জরুরি মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশন মাল্টিপারপাস হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) ৮ম সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে এলডিসি গ্র্যাজুয়েট হতে যাচ্ছি। এই গ্র্যাজুয়েশনের কারণে সামনে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের ওপর বিভিন্ন নিয়ম আসবে। এতে আমাদের অর্থনীতিতে যে ধাক্কাটা আসবে তা থেকে পরিত্রাণের নিয়ামক হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এ কারণে আমাদের প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে দক্ষতার মাধ্যমে। এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত আমাদের সময় আছে। আমি মনে করি এটা দীর্ঘ সময়। যদি ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে এলডিসি থেকে আমরা গ্র্যাজুয়েট করি, আমি মনে করি আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপগুলো একসঙ্গে কাজ করলে একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ সম্ভব।
এ সময় লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পাশাপাশি ব্যবসা সহজীকরণ করতে হবে। আমরা সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়াতে চাই।