ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ২৮ মাঘ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

নতুন কর্মসূচি গণঅধিকার পরিষদের

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:১২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৬:১৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সর্বশেষ

নতুন কর্মসূচি গণঅধিকার পরিষদের

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে গণঅধিকার পরিষদ। একইসঙ্গে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, আলরাজি কমপ্লেক্সে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে একের পর এক আন্দোলন সরকারের স্থিতিশীলতার পথে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন স্থানে বুলডোজার দিয়ে ধানমন্ডি ৩২ সহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। যেখানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, সেখানে কোনো আওয়ামী লীগ নেই। অথচ সচিবালয়, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ প্রশাসন ও সরকারের সকল সেক্টরে আওয়ামী সুবিধাভোগীরা বহাল তবিয়তে রয়েছে।

গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস পরও সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে এই ধরনের ঘটনা সরকারের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ ও সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলানোর শামিল। এছাড়া গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হওয়ার পরে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো সেনাবাহিনীর কাছে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের অবস্থান সম্পর্কে জানিনা। 

তিনি বলেন, বড় বড় ডেভিলরা পালিয়ে গেছে।

তবে অপারেশন ডেভিল হান্টকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু এর মাধ্যমে যেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ ও নিরীহ কোনো কর্মী-সমর্থক হয়রানির শিকার না হয়। শুধুমাত্র অপরাধীরাই যেন অপারেশন ডেভিল হান্টের অন্তর্ভুক্ত হয়।
এ সময় তিনি বিভিন্ন কর্মসূচির কথা জানান। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর বিক্ষোভ সমাবেশ করবে।

এছাড়া জনগণকে গণহত্যার বিচারে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে দেশব্যাপী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হবে। এছাড়া ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।
গণঅধিকার পরিষদের ৫ দফার মধ্যে— জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিগত ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি, ক্ষতিপূরণ এবং যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। 

জুলাই গণহত্যায় জড়িত বিদেশে পলাতক গণহত্যার মাস্টারমাউন্ড শেখ হাসিনাসহ সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করা। 

ফ্যাসিবাদের আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাট, অর্থপাচারে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা। 

জন-আকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণে রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে কার্যকর সংস্কার নিশ্চিতে অভ্যুত্থানের অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।

বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার রেজিমে সংগঠিত গুম-খুন  ও ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ভুয়া নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ও উচ্চতর পরিষদ সদস্য ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, হাবিবুর রহমান রিজু, সহ-সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ জিলু খান, আবদুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুব ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম প্রমুখ।

জনপ্রিয়