ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ২৯ মাঘ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

যমুনা বহুমুখী সেতুতে আর চলবে না ট্রেন

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:০২, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১২:১৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সর্বশেষ

যমুনা বহুমুখী সেতুতে আর চলবে না ট্রেন

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যমুনা রেল সেতুতে চালু হচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন; এর মধ্যে দিয়ে যমুনা বহুমুখী সেতুতে ইতি ঘটছে ট্রেন চলাচলের।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নিয়মিত ট্রেন চলবে নতুন তৈরি এ রেল সেতুতে। রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথম পাড়ি দেবে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে উত্তর পাশে অবস্থিত এ সেতু দিয়ে।

প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুরর রহমান বলেন, সকাল ১০টায় ওই ট্রেন যমুনা রেল সেতু অতিক্রম করার সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বুধবার সকাল ৭টায় সিল্কসিটি ট্রেন ছেড়ে আসে, ১০টার দিকে ওই ট্রেনটি সেতু অতিক্রম করে। পর্যায়ক্রমে সিডিউল অনুযায়ী বাকি ট্রেনগুলো যাবে।

৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যমুনা রেলসেতুতে দুটি লাইন থাকলেও প্রথমে একটি লাইন দিয়েই উভয়দিকে ট্রেন চলাচল করবে বলে জানান তিনি।

মাসউদুরর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে যেতে ডান পাশের লাইন, অর্থাৎ সেতুর উত্তর পাশের লাইনটি দিয়ে ট্রেন চলবে। আপাতত একটি লাইনে উভয়দিকে ট্রেন চলবে। তবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। যোগাযোগ উপদেষ্টাসহ কর্মকর্তারা ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন। ওই দিন থেকে দুই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে যোগ করেন তিনি।

নতুন এ রেল সেতু চালুর সঙ্গে সঙ্গে বুধবার থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হচ্ছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।

১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

রেল সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে যমুনা নদীর ওপর সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি ২ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। প্রকল্পটি ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর করা হয়। এর আগে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সেতুটির ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই জয়েন্ট ভেঞ্চার।

উল্লেখ্য, যমুনা নদীর ওপর অবস্থিত যমুনা বহুমুখীসেতুটি ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে চালু হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় ট্রেন যাত্রীদের৷ এই দুর্ভোগ এড়াতে সেতুটির ৩০০ মিটার অদূরে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেল সেতু।

জনপ্রিয়