![১৮ মার্চ নবনির্মিত যমুনা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ১৮ মার্চ নবনির্মিত যমুনা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন](https://www.amaderbarta.net/media/imgAll/2023November/train1-2502121351.jpg)
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত যমুনা রেলওয়ে সেতু দিয়ে প্রথমবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রেলপথের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত নতুন রেলপথ চালু হওয়ার ফলে যমুনার এপার-ওপারে ক্রসিংয়ে অপেক্ষার পালা থেকে মুক্তি পেল যাত্রীরা।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ১৮ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সিল্কসিটি ট্রেন নবনির্মিত যমুনা রেলসেতু অতিক্রম করে। মাত্র ৬ মিনিটে ট্রেনটি সেতু পার হয়। এ সময় ট্রেনটির ঘণ্টায় গতি ছিল প্রায় ৭০ কিলোমিটার।
এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে টাঙ্গাইলের ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশন পূর্ব প্রান্ত থেকে সিরাজগঞ্জ সয়দাবাদ রেলস্টেশনের উদ্দেশে ট্রেনের একটি ইঞ্জিন পরীক্ষামূলকভাবে যমুনা রেলসেতুতে চালানো হয়। যার ঘণ্টায় গতিবেগ ছিল ৫০ কিলোমিটার।
অপর দিকে সকাল ১০টায় বনলতা এক্সপ্রেস শেষবারের মতো পুরোনো যমুনা সেতু ব্যবহার করে যাত্রা করে, যা সেই সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের সমাপ্তি টেনে দেয়।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান জানান, যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতুতে দুটি (ডাবল) রেললাইন থাকলেও প্রথমে একটি লাইন দিয়েই উভয় দিকে ট্রেন চলাচল করবে। ১৮ মার্চ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। ওই দিন থেকে দুই লাইনেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
মাসউদুর রহমান আরও জানান, উদ্বোধনের দিন যোগাযোগ উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন। ওই দিন থেকে দুই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে এবং যমুনা সেতু দিয়ে আর কোনো ট্রেন চলাচল করবে না। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে প্রায় ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে জাপানি সংস্থা জাইকা। নতুন সেতুর ফলে প্রতিটি ট্রেন পারাপারে সময় বাঁচবে ৩০-৩৫ মিনিট।