
টাঙ্গাইলে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামে এক তরুণী সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের একটি ছয়তলা ভবন দখলে নেওয়া বাসাটি যৌথ বাহিনীর অভিযানে মুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের ছোট কালিবাড়ী এলাকার বাসাটি দখলমুক্ত করা হয়।
রাত সাড়ে ৯টা থেকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে দুপুরের দিকে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামে ওই তরুণী তালা ভেঙে প্রায় ২০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে ওই ভবনে প্রবেশ করেন। এতে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানান, মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামে এক তরুণী সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের ছয়তলা ভবন দখলে নেয়। এ সময় তিনি ভবনটির গেটের তালা ভেঙে প্রায় ২০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। এভাবে একজনের বাড়ি দখল করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই তরুণীসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবনটিতে প্রবেশের পর থেকেই এসব মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের খাবার দেওয়া হয়নি। তারা সারা দিন না খেয়েই দিনযাপন করেন।
জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান বলেন, ‘মিষ্টি নামের ওই মেয়েটি আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেছিল। টাকা না দেওয়ায় বাড়িটি দখল করে। বাড়িটি আমার নামে, আমার স্বামীর নামে নয়। আমি এ ঘটনায় সঠিক বিচার দাবি করছি।’
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফ বলেন, ‘এদিন ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীনকে উদ্ধার করা হয়। সমাজসেবাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তাদের পুনর্বাসন করা হবে।’
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক আল আমিন বলেন, ‘মিষ্টির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পেয়েছি আমার সহযোদ্ধারাও তার সম্পর্কে অবগত নয়। তার কর্মকাণ্ডের প্রতি আমার কোনও ধরনের সমর্থন নেই।’