
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মুগ্ধ ইতিহাস রচনা করে গিয়েছে। মুগ্ধকে নিয়ে বলতে গেলে দুঃখ লাগে ঠিকই কিন্তু তাকে নিয়ে কথা বলতে গেলে গর্বে মাথা উঁচু হয়ে যায়।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, মুগ্ধকে আমরা হারিয়েছি ঠিকই, তবে সে আমাদের নতুন বাংলাদেশ দিয়ে গিয়েছে। সে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের তৃষ্ণা নিবারণের পানি যুগিয়েছে। আগে ভাবা হতো নতুন প্রজন্ম নিজেদের ছাড়া কিছু বোঝে না, তারা দেশ ও রাজনীতি বিমুখ। কিন্তু সেই প্রজন্মের সন্তানরাও তাদের দেশপ্রেমের অবস্থান প্রমাণ করে দিলো। এখন আমাদের দায়িত্ব ও দায় অনেক বেশি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার খুনিদের বিচার এই মাটিতেই হতে হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আব্দুল মজিদ, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. নাজমুল আহসান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. হারুনুর রশীদ খান, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. নূরুন্নবী ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
অনুষ্ঠানে শহিদ মীর মুগ্ধের বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও দুই জন শিক্ষার্থী বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ এর উদ্বোধন করেন।