
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন শিক্ষকরা।
সোমবার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষা উপদেষ্টার সাক্ষাতের উদ্দেশে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন তারা।
শিক্ষকরা বলছেন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো। তাই অবিলম্বে তাদের দাবি মানতে হবে।
এর আগে, গতকাল রোববার দুপুরে অবস্থানরত সব নন-এমপিও শিক্ষকদের নিয়ে খালি থালা হাতে নিয়ে ভুখা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে হাইকোর্ট কদম ফুয়ারা হয়ে পল্টন মোড় হয়ে প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
রোববার তিনদিন কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে আজ সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা, মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের উদ্দেশে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা এবং আগামী বুধবার মুখে লাল কাপড় বেঁধে রাজপথে মিছিল।
শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি করতে হবে। তারা বলছেন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো। তাই অবিলম্বে আমাদের দাবি মানতে হবে। এ দাবি পূরণ না হলে রাজপথ ছাড়বেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টির মাধ্যমে হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও বঞ্চিত করেছে। অথচ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ২০-২৫ বছর ধরে এমপিওবিহীন থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক-কর্মচারীরা নিরলসভাবে পাঠদান কর্মসূচি চালিয়ে গেছেন এবং জাতীয় শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিও থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের এবং শেখ পরিবারের নামে যেসব প্রতিষ্ঠান ছিলো সেগুলো এমপিওভুক্ত করেছেন, বলেন তারা।