
এতে রমনা জোনের এসিসহ সাত থেকে আট পুলিশ আহত হয়েছেন। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের তিনজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দলকে যমুনায় যেতে বললেও তারা না গিয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে কর্মসূচি শেষ করেন।
এর আগে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামে একটি প্লাটফর্ম থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে যমুনা অভিমুখে রওনা হন আন্দোলনকারীরা। মিছিল থেকে তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেন। এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সব ধর্ষণকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিছিল নিয়ে শাহবাগ থেকে এগিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড়ে আসতেই তাদেরকে ঠেকিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু তারা পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মারধরের শিকার হন, তাঁর জামা ছিঁড়ে যায়। এরপর পুলিশ তাদেরকে লাঠিপেটা করে কিছুটা সরিয়ে দেয়। এতে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন আহত হন।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক সাজেদুল ইসলাম, শাকিল আহমেদ, ওহি, অং মারমাসহ কয়েকজন আহত হন।
আন্দোলনরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অদ্রিতা রয় বলেন, যে মিছিলে সামনের সারিতে নারীরা ছিল সে মিছিলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পালিত পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এ রমজান মাসে আমাদের নারীদের পোশাক ছেঁড়া হয়েছে। মেয়েদেরকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। লাঠিচার্জ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘তারা পদযাত্রা করার কথা বলেছেন, আমরা প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে তারা বাসভবনের দিকে ঢুকে যাওয়ায় আমরা বাধা দেই এবং বলি আপনাদের কোনো বক্তব্য থাকলে পাঁচজন প্রতিনিধি পাঠান। এতে তাদের একটা পক্ষ রাজি হলেও আরেকটা পক্ষ ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করে, আমাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হচ্ছিল। আমরা কোনোভাবেই লাঠিচার্জ করিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এসি রমনাকে তারা ব্যাপক আকারে পিটিয়েছে, তার জামা ছিঁড়ে গেছে। আমাদের কিন্তু হাতে লাঠি ছিল না। আমরা টিয়ারশেল, সাউন্ডগ্রেনেড কিছুই ছুড়িনি। এ অবস্থায়ও তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি কিন্তু তারপরও আমাদের সাত-আটজন আজকে আহত হয়েছে। কয়েকজন বেশ গুরুতর আহত হয়েছে।’
মাসুদ বলেন, ‘তাদের সঙ্গে কথা ছিল- পাঁচজন প্রতিনিধি যাবে, আমরা তো বাধা দেইনি। কিন্তু এ জায়গাটা প্রটেকশনের আওতাধীন, এজন্য সবাইকে যেতে দেইনি। কিন্তু তারা শোনেনি। এরপরও আমরা ধৈর্য সহকারে ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদেরকে যেতে দেইনি এটা আমাদের অপরাধ। কিন্তু তাদেরকে যেতে দিলে আমার আর চাকরি করার দরকার নেই।’