
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন নারী অধিকার আন্দোলন ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারীদের হাতে থাকা প্লেকার্ডে ‘বেঁচে থাকার অধিকার চাই’,‘তুমি কে আমি কে আছিয়া আছিয়া,’‘ধর্ষক রে ফাঁসি দে,’‘সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকেরে কবর দে, সহ লেখা স্লোগান।
এদিকে, বুধবার (১২ মার্চ) দিনগত রাতে সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে নির্যাতনের শিকার শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন।
পোস্টে বলা হয়, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) শিশুটি চিকিৎসাধীন। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং তদানুযায়ী সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার শিশুটি চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে এবং সিপিআর দেওয়ার মাধ্যমে স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০ থেকে ৪০ যা আরও নিম্নমুখী।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের (৫০) লালসার শিকার হয় শিশুটি। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ৭ মার্চ রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তারপর তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার শিশুটির দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাসহ চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ৯ মার্চ রাত ১২টার দিকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে শুনানি শুরু হয়। পুলিশ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক নম্বর আসামি হিটু শেখকে ৭ দিন এবং সজীব হোসেন, রাতুল শেখ ও জাবেদা বেগমের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।