
ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন
ঈদ উপলক্ষে অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ এবং ১২ দফা দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ প্যাসেঞ্জার ওয়েল ফেয়ার কাউন্সিলের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের আহ্বায়ক মোস্তফার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম ফারুক মজনুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মিলন মল্লিক, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল মামুন দীপু মীর, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সভাপতি মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাংবাদিক সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব সুজন মাহমুদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঈদ আসলেই পরিবহন মালিকেরা যাত্রীদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে বেশি ভাড়া আদায় করেন এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলোকে কোনো রকম রং করে রাস্তায় নামান। এতে করে দুর্ঘটনা ঘটে।
তারা বলেন, আমরা দাবি করছি, এবারের ঈদে কোনো যাত্রীদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে বেশি ভাড়া আদায় করা যাবে না এবং কোনোভাবেই ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তায় নামানো যাবে না। এ জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করছি এবং যাত্রীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না।
গাড়ি চালনার বিষয় সতর্কতা উচ্চারণ করে ব্ক্তারা বলেন, দক্ষ চালক ও হেলপারদেরকে দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। কোনো গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। এছাড়াও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ প্যাসেঞ্জার ওয়েল ফেয়ার কাউন্সিল ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকার ও পরিবহন মালিকসহ সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
দাবিগুলি হচ্ছে-
১. ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ফিটনেসবিহীন যানবাহন চালানো যাবে না।
২. ঈদ উপলক্ষে অযৌক্তিকভাবে বাড়তি ভাড়া আদায় করা যাবে না।
৩. যাত্রীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না।
৪. দক্ষ চালক ও হেলপারদের দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে।
৫. সড়ক পরিবহন আইন যথারীতি মেনে চলতে হবে।
৬. সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে কল্যাণ তহবিল চালু করতে হবে।
৭. ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে রাস্তা পারাপারের জন্য আন্ডারপাস করতে হবে। ৮. ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টদের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ৯. কোনো পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না।
১০. টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে।
১১. নির্ধারিত স্টপেজে যাত্রী ওঠা-নামা নিশ্চিত করতে হবে।
১২. প্রত্যেক টার্মিনালগুলোতে অত্যাধুনিক টয়লেট ও সিসিটিভি সংযোজন করতে হবে।