ঢাকা রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫ , ১ চৈত্র ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

স্বীকারোক্তি দিয়েছেন হিটু শেখ, বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৪৫, ১৬ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

স্বীকারোক্তি দিয়েছেন হিটু শেখ, বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে

মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ শনিবার (১৫ মার্চ) আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলায় এ পর্যন্ত পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা।

রোববার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাগুরা সদর থানায় ওসির কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি হিটু শেখ ছাড়াও বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার সংশ্লিষ্ট আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিকের জন্য সিআইডিকে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার তদন্তের স্বার্থে তিনি আর কিছু জানাতে চাননি।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো.মিরাজুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তবে বাদীপক্ষের প্যানেল আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহেদ হাসান টগর  বলেন, শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম) আদালতের বিচারক সব্যসাচী রায় হিটু শেখের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। হিটু শেখ জবানবন্দিতে জানিয়েছেন- নির্জন ঘরে একা পেয়ে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে হিটু শেখকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, মাগুরা শহরের  নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের ওই শিশুটি। এ সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ওই ঘটনার পর প্রথমে শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সর্বশেষ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ দুপুরে শিশুটির মৃত্যু হয়। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে শিশুটিকে মাগুরা নেওয়া হয়। পরে শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

এদিকে ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুটির মা গত ৮ মার্চ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। আসামিরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় আসামিদের গত রোববার (৯ মার্চ) দিনের বেলা আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। পরিস্থিতি বিবেচনায় গভীর রাতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করেছেন আদালত। এ সময় আদালত মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে সাত দিন এবং অন্য তিন আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড প্রাপ্তরা হলেন— হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম, বড় ছেলে সজীব শেখ ও ছোট ছেলে রাতুল শেখ।

জনপ্রিয়